এসেছে শরৎ, এসেছে বসন্ত,
এসেছে গ্রীষ্ম- শীত।
বৃক্ষ-মানব বড়োই ক্লান্ত,
মুখে গায় বর্ষার গীত।
মেঘ গোল হয়ে আকাশে,
গুরু-গুরু ডাক দেয়।
ঝগড়া লাগিয়ে পাগল বাতাসে,
ধুলো-পাতাগুলো উড়ে যায়।
তারপরই আসে বিদ্যুৎ ঝলক,
খেলে কালো মেঘে মেঘে।
ফেলতে না ফেলতেই চোখের পলক,
আওয়াজ করে রেগে রেগে।
তারপরই কেন মেঘে কাঁদে,
যেন মনে হয় কালো মেয়ে।
অতি উল্লাসে আর আনন্দে,
দেখে সকলে তার দিকে চেয়ে।
লোকেদের আনন্দে আরো কাঁদে,
দুঃখিত সেই কন্যা।
বৃষ্টির ওপর বৃষ্টি সাধে,
ডেকে আনে বড়ো বন্যা।
ডুবে যায় সব ঘরবাড়ি,
ভেসে যায় সকলে।
ভেসে যায় সব গোরু-গাড়ি,
মৃত্যু আসে অকালে।
জমিখান সব হয় বরবাদ,
পচে যায় সব ফসল।
চারিদিকে শুধুই দেয় আর্তনাদ,
পশু, পাখি, মানুষ সকল।
তারপরই আসে বিপর্যয়,
প্রাণহানি হয় বিরাট।
কত মায়ের কোল খালি হয়,
নিষ্পাপ শিশু মরে সারারাত।
মায়ে-বেটিরে কেঁদে ওঠে,
বাপেরে খুঁজে পায় না।
কালো মেঘ আরো নেচে ওঠে,
বারিবর্ষণ আর থামায় না।
ধ্বসে যায় সব বাড়ি,
নিঃশেষ হয় সব বংশ।
পাখিরা সব শুকায় নাড়ি,
দেখে চারিদিকে বিশাল ধ্বংস।
খরাতে যে চাষি পেটের দায়ে,
বৃষ্টিরে খালি ডাকে।
সে চাষি এ ঘোর বন্যায়,
মরার কান্না ডাকে।
-----সমাপ্ত-----