সময় নেই আর হাতে
সময়কে ছুঁড়ে দিয়েছি নক্ষত্রের দূরত্বে
ঘুরে আসুক সে সহস্র আকাশলীনা
যেখানে সময় বিনির্মাণ হয় অসময়ের ভাবনায়
আজ এখানে আছে শুধু সময়ের ছায়া
যার বিস্তৃতি আমাদের ছায়াপথ ছাড়িয়ে
নিঃক্ষত্র লোকালয়ের নিঃশব্দ নিঃসঙ্গতায়
তোমার আমার অন্তহীন নিস্তরঙ্গতায়
আজ কাটাকুটি হোক সময়ের ছায়ার
এক টুকরো নিয়ে যাক দক্ষিণের বাতাস
আর এক টুকরো চিরহরিৎ বনানী
আর টুকরোগুলো নেবে সমুদ্রের নীল পাহাড়ের চুড়ো
উত্তরের হিমবাহ পূবের সুধাহীন মরু
পশ্চিমের জলকল্লোল সৃষ্টিমুখর নদী
কিছু কণা রেখে দেয়া হোক নিথর দেহের শিশুটির জন্য
যার কথা ছিলো গ্রীসের পুলিশ প্রধান হওয়ার
কিছু কণা রাখো ফেলানী নামের মেয়েটির জন্য
যে চেয়েছিলো হতে আদুরে গরুর খামারী
সোনালি ডানার চিল নিয়ে যাবে কিছু কণা সময়ের ছায়া
ঈশান থেকে নৈঋত কোনে
খুঁজে নিতে পরশুরামের কুঠার
আর কিছু কণা নিয়ে যাক ঠোঁটে করে কাক চড়ুই শালিকের দল
অশোক স্তম্ভে জ্বালাতে আলো
পিরামিডের জ্যামিতির জন্য চাই কিছু কণা
নতুন এক পৃথিবীর নকশার ভাবনায়
তোমাদের জন্য কি রাখবো আর
চাঁদের কলোনি না মঙ্গলের নতুন বসতি
নিয়ে যেয়ো কিছু কণা এ সময়ের ছায়ার কথা ভেবে
কোন এক প্রজন্ম সেই কণার আলোয়
নিশ্চয়ই খুঁজে নেবে আমাদের বর্তমান
সময় কি তখন ফিরে আসবে নক্ষত্রের দূরত্ব পেরিয়ে
পূবের সূর্যকে পশ্চিমে ওঠার মন্ত্র দিয়ে
তখন কি রাতের চাঁদের আলোয়
জেগে উঠবে রাক্ষুসে পদ্মা
গঙ্গার সাথে এক হয়ে ভেঙে দেবে জমির অদৃশ্য ভাগ
হাতুড়ি আর কাস্তে চলবে এক সাথে
আরব সাগর থেকে বঙ্গোপসাগর আর লুম্বিনী থেকে কণ্যাকুমারিকায়
তখন কি দিনের আলোয় প্রকাশ্য চুম্বনে থাকবে না কোন বাঁধা
বেশ্যা না ভাতারি সে প্রশ্ন তুলবে না হাড়গিলের দল
তুমি হেটে যাবে গ্রীবা উন্নত রাজহংসীর ভঙ্গিমায়
তোমার প্রেমিকেরা ছড়াবে গোলাপের পাপড়ি আর সুগন্ধি সারাপথ ধরে
আর আমি বাজাবো মন্দিরা ঝর্ণার ছন্দে
সে সব ভাববার আর নেই সময়
কারণ সময়কে ছুঁড়ে দিয়েছি নক্ষত্র দূরত্বে
আছে শুধু সময়ের ছায়া অস্তিত্বের সংশয় চিত্তে
পেয়ালা পূর্ণ আছে গোলাপী মদিরায়
অপেক্ষায় আছি জোনাকির আলো জ্বলে ওঠার
এই তো পয়মন্ত প্রহর
সময়ের ছায়ার সাথে ভালোবাসাবাসি করার।
১৭ নভেম্বর ২০২১
কক্সবাজার