প্রমিত বাংলার ভবিষ্যৎ কি?
প্রশ্নটা করেই প্রশ্নকর্তা চোখ ঘোরালেন লাউঞ্জের চারপাশটা -
ভবিষ্যৎ তো চোঙা প্যান্ট আর বগল খোলা টি-শার্ট
এমন ভাবে কথাটা ছাড়লেন ডক্টর ক যেন মনে হলো পিন ফোটালেন নধর কোন পশ্চাদ্দেশে
কথাটা শুনে সামনে বসা ডক্টর ভ কি যেন বলতে যেয়েও বোয়াল মাছের মতো মুখটা ঝপ করে বন্ধ করে দিলেন
আরাম করে আধেক সিংগাড়া চিবুতে চিবুতে কোঁত করে গিলে নিলেন যা বলতে চেয়েছিলেন।

কেন কি হলো আবার? এতো কিছু ছেড়ে বাংলার পেছনে লাগলেন কেন?
কথাটা ছুটে এলো কোনার আরাম কেদারায় চোখ মুঁদে বসা ডক্টর গ-র কাছ থেকে
ওনার এখন আর সামনে পোষাচ্ছে না তাই এখন পেছনেই লাগছেন, বুড়ো বয়সের রস আর কি
কথাটা কে বললো তা ভালো করে বোঝা গেলো না।

প্রমিত বাংলার অবস্থা তো একেবারে যাচ্ছেতাই
ম্লেচ্ছদের হাতে পড়লো যা হয় আর কি
প্রমিত বাংলাকে একেবারে রসাতল নিয়ে গেলো এরা,
খুব গম্ভীর মুখে বলে উঠলেন ডক্টর ব
বাংলাভাষা কি তাহলে একটা স্থবির ভাষা হয়ে যাবে, সংস্কৃতের মতো, বলে উঠলেন ডক্টর ম
যা বোঝেন না তা নিয়ে কেন কথা বলতে যান বলুন তো
বেশ ঝাঁঝিয়ে উঠলেন ডক্টর ন
আরও কি যেন বলতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না সামনে বসা ডক্টর জ-র ভ্রুকুটি দেখে
যতই হোক একই দলের লোক খেপানো যাবে না
সামনে ফ্লাট বরাদ্দের মিটিং
নিজের জন্য এবার দক্ষিণ খোলা শিক্ষক-ফ্লাটের আবেদনপত্রটা মাত্রই হাইকমান্ডের কাছে দিয়েছেন
এখন নেতা খেপলে সাড়ে সর্বনাশ।

একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে ডক্টর ত কি যেন বলতে যাচ্ছিলেন
সে সময় মাদকতাময় সুগন্ধ ছড়িয়ে সুললিত ছন্দে ঢুকলেন ডক্টর প
ঢুকেই সুলেল কন্ঠে বলে উঠলেন, জানেন ডক্টর ই, আজ কি হইছে আমার কেলাশে!
সবার চোখ তখন নিবদ্ধ রেশমের শাড়ির ভাঁজের নীচে উদ্ধত বুকের উপর
যেন চোখ দিয়েই চেটে নেবে সব কামনার রসোল্লাস
কারও কারও কান খাড়া বাকিটা শোনার জন্য ভবিষ্যতের গল্পের খোরাক
প্রমিত বাংলার ভবিষ্যতের প্রশ্ন তখন লাউঞ্জের আরাম কেদারায় দিবা নিদ্রায় মগ্ন।

২২.০১.২০২০