নদী, আমার নদী
তোমার স্রোতে ভাসতে ভাসতে শুনতে পাই অতল কোলাহল।
তোমার ঢেউগুলো লাস্যময় সহচর-সহচরীদের মত
হেসে খেলে ভেংগে পড়ে একজনের গায়ে আরেকজন।
হিজলের ছায়া প্রশান্তির পরশ বুলায় সন্ধ্যা সকাল।
ঝুম বরষায় তুমি পাহাড়ের মত শান্ত স্নিগ্ধ
নীরবে লুকিয়ে রাখ তোমার বুকের উথাল পাথাল রূপ।
আমি কান পাতি তোমার নীরবতায় -
কখনো বুঝে নিই কখনওবা বোধে ধরা পড়ে না।
সে আমার বোধহীনতা, তুমি হাসো মেঘমল্লার তানে।
তোমার উন্মত্ত রূপ খুলে যায় পূর্ণিমা অমাবস্যায়।
আমি উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে যাই তোমার কাছে।
কি ঘোর খেলা করে দেহে মনে, নাচি নটরাজের ছন্দে।
শরতের শুভ্রতায় ঢেকে যায় তোমার দুকূল।
শীতের হিম তোমাকে বাধে স্রোতহীনতায়।
বসন্তে তুমি ছুড়ে ফেলো অর্গলহীন স্থবিরত্ব
মঞ্জরিত করো মধু-মঞ্জরী।
আমার সারাদিন সারারাত সপ্তাহ মাস বছর কেটে যায়
অবগাহন বোধহীনতা আনন্দাশ্রু দুঃখবিলাস ভাবনায়।
নদী কখনো হাসে কখনো বুক ভাংগা সুরে অবাক হয়ে ভাবে
মানুষটা এতো বিসম বেভুল্লো বিসদৃশ -
আমার ভিতরে জড়িয়ে আছে তবু কেন বাহির ভিতর খোঁজে!
আমি ভাবি একদিন ঠিক বুঝে যাব নদীর ভালোবাসা।
১৮.০৫.২০১৭, ঢাকা