ধুলোধুসরিত ভূমিশয্যায় আড়মোড়া ভাঙ্গে
জোছনামন্দ্রিত শারদীয় সন্ধ্যা।
গায়ে মাখে ঝরে পড়া কামিনীর স্পর্শ।
দূরে কোথাও গৃহের কল্যাণ কামনায় মৃদু ঘণ্টাধ্বণি -
স্তুপ করা শুকনো পাতার আরাম কেদারায়
বেশ আয়েশ করে হেলান দেয় শারদীয় সন্ধ্যা।
সান্ধ্যকালীন আড্ডায় বাতি দেবার তাগিদ
তেমন বোধ করে না একবারও।
এমন মন্থরিত অন্ধকার বেশ লাগছে তার।
মেঘেদের আসার সময়ও হয়ে এলো
সাথে আসছে চপল বাতাস
ছাতিয়ান ফুলের মাদকিত সৌরভ
ইছামতি নদীর কলধ্বনি।
আশে পাশে বটের ঝুরিরা তো আছেই
সাথে চিত্রলের নূপুর নিক্কণ
ঐরাবতের গম্ভীর পদচালনা।
বেশ জম্পেশ আড্ডা হবে আজ
ভাবতেই রোমাঞ্চিত শারদীয় সন্ধ্যা।
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না আর
প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটি শিলা পাথর।
তেমনি সময় এসে হাজির একে একে সব
আডডা উঠলো জমে
পেয়ালা ভরে গেল রঙ্গিন মদিরায়
হাসির দমকে ছলকে পড়লো অমৃত সুধা
সবুজ ঘাসের গালিচায়।
রাত গড়িয়ে ভোর হতে চললো -
সব ফেরার পথ ধরেছে
ঢুলু ঢুলু চোখে
ঘাসের কিনার আর আকাশের প্রান্ত ধরে।
শারদীয় সন্ধ্যা -
নিঃসঙ্গ বিহারে মিলিয়ে গেলো
রবির সোনালি রথে চেপে
ছায়াপথের নৈঋত কোণে।
শুধু রয়ে যায় শুকনো পাতার আরাম কেদারা
আর ধুলো ধুসরিত ভূমি শয্যা
গতরাতের অনাবিল আনন্দের রেশ বুকে ধরে
আরেকটি নিঃসংকোচ প্রত্যাশাহীন আড্ডার অপেক্ষায়।
০৮.১০.২০১৮
ঢাকা