চিৎ হয়ে শুয়ে আছি গত রাত থেকে
যখন আমি বেরিয়ে গেছি আমা হতে
তারপর থেকে চলছে সার্কাস
শুভ্র সফেদ কাপড়ে আমার বাস
হিমঘরে বেশ ছিলাম
শরীরের বেসম্ভব কোনে ছিলো নাকো ঘাম
সকালে সেই শান্তি গেলো টুটে
যেন ঘোর কলি এসেছে ছুটে
টানাটানি করে
কাঠের বাক্সে ভরে দিলো দেহখানি ধরে মুরি করে
তারপর নিয়ে গেলো হোথা
বড্ড গোলমাল আর ঝালাপালা মাইকের আওয়াজ যেথা
সেই থেকে আছি এভাবেই
কপাল বরাবর ফ্যানটা ঘুরছে সেভাবেই
শরীরের সেই বেসম্ভব কোনে কুটকুট করছে খুব
কাকে যে বলি দিতে একটু চুলকানোর সুখ
পা দুটো অসার
হাত দুটো যেন শতমণী পাহাড়
ফুলের রাজ্যে চাপা পড়ে আছি
নাকের ওপরে সাঁট হয়ে বসে আছে মাছি
যে নেতারা গতকাল দিচ্ছিলো গালি
তাদের দেখি আজ মহা আহাজারি
স্তুতির বন্যায় ডুবিয়ে দিচ্ছে ধরা
মুখের বদ গন্ধে মরলুম ওদের চোপাগুলো সরা
যারা ছিলো সুবিধাবাদী মিত্র
তারা আজ ব্যস্ত তুলতে নিজের চিত্র
যারা ছিলো জ্ঞানী শত্রু চরম
তাদের আজ ভেজা চোখ চোয়াল নরম
আর যারা সব খেতো চেটে পুটে
আজ তারা সব নেই এখানে গেছে অন্য পটে
রমনীমোহন নেতারা রমনীসম্ভারে
এসেছেন দিতে ফুল কোন ভুল না করে
ক্যামেরার দিকে তাদের খালি আড় চোখ
সাথে লেপ্টে আছে টুকটুকে লাল সব ঠোঁট
এ খেলা চলবে আর কত
ওরে চিৎ শুয়ে হয়েছে গোদে ব্যথা
একটু পাশ ফিরে শোয়া তো
নইলে আবার কিন্তু বলে উঠবো কথা
তখন পস্তাবি সব মূর্খের দল
পেকে উঠবে ঝগড়া যত কোন্দল
এবার সব ভালো মন্দ মাটি চাপা পড়ুক
রয়ে যাক লোভের আসন শত্রু মিত্র লড়ুক।