ছেলেটি খুব বেশি বলতো না
তার চেয়ে শুনতো অনেক।
মেয়েটি মনের ঝাঁপি খুলে
বলে যেতো দীর্ঘ ক্ষনেক।
কখনো কলাভবনের কোণের সিঁড়িতে
কখনো ফুলার রোডের জলগাছের ছায়ায়
কখনো রোদঘন মল চত্বরে
কখনো লাইব্রেরির বারান্দার মায়ায়।
কত যে কথার মালা
গেঁথে যেতো সকাল দুপুর
কত যে আবোল তাবোল
ছন্দ বোলে তুলে দিতো সুর।
হঠাত কি যেন কি হলো
ছেলেটি কথা খুঁজে পায়না
মেয়েটির কথার ঝাঁপি
দেখে শুধু নিজের আয়না।
কাঁচের দেয়ালে মাথা ঠুকে
মেয়েটির মন কাঁদে শুধু
মন খোঁজে কথার সংগী
ছেলেটির মন ধু ধু।
মেয়েটি চায় আজ শুনতে
ভালবাসার মন ভিজানো শব্দ
ছেলেটির কি জানি কি হলো
মনের গান অনেক স্তব্ধ।
মেয়েটির মনে অনেক প্রেম
রংগমাখা বুকের গভীরে
আকাঙ্ক্ষায় প্রেমিকের বাঁশি
দেখতে চায় স্বপ্নিল ফ্রেম।
আবার এক বসন্তের মাঝে
মেয়েটি কথা খুঁজে পেলো
খুলে দিলো মনের আয়না
আর ছেলেটির ছায়া মনে নিলো।
কথা চলে কথার ভিতর
গানে গানে মন ভিজে যায়
মন হারিয়ে মন খোঁজে
আকুলতা ব্যাকুলতায় হারায়।
কোন এক অনুরাগের মুহূর্তে
মেয়েটি ভাবে মনে মনে
আমি কি ছেলেটিকে হারালাম
আর কি যাব তার সনে।
ছেলেটি ভালোবাসা ভাবে
আর ছেলেটি কষ্টকে বাধে
মেয়েটি ছেলেটিকে বাসে
মেয়েটি ছেলেটিকে দোষে।
বসন্তে উচাটন মন
মনের কি দোষ বলো আছে
কথা খোঁজে কথার সংগী
এখানে কথা না পেলে
যাবে সে কারও না কারও কাছে।

০৩.০৪.২০১৮