জ্বলে ওঠা জল ইঁদারার কিনারায় থমকে দাঁড়িয়ে
ইতি উতি খোঁজে পিপাসিত উটের পাল  
ভাঙা বালতির হাতল নোনা ধরা দেয়ালে
কড়পরা হাতের বজ্রমুষ্টিতে হয়ে ওঠে রংতুলি
প্রতিদিন হেটে যাওয়া এক-বাঁশের সাঁকো বেয়ে মজা খালের এপার ওপার
চোখে পড়ে না খালের ধারে পড়ে থাকা তোবড়ানো টিনের কৌটো
পলিথিনের আস্তর ঠেলে জেগে ওঠা ঢোলকলমীর বেগুনী ফুল

সোনালি ঘুণপোকা ঢুকে গেছে মগজের বাম অলিন্দ দিয়ে
স্মৃতির নিউরনগুলো এখন থেকে খেতে থাকবে একের পর এক
মুছে যাবে তোমার সাথে হাত ধরে চলা
একসাথে খেতে বসে হাসিতে বিষম খাওয়া
ক্যারাম বোর্ডে তাক করা গুটির দিকে তোমার কাঁপা কাঁপা তর্জনী
ফোনে তোমার মৃদু উৎকণ্ঠিত স্বর আর ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা
গোসলের পর বের হলে সাবানের ফুরফুরে গন্ধ
তোমার সিগারেটের প্যাকেট থেকে চুরি করে খাওয়া দুএকটা শলা
ছোট্ট টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে লেখালেখি
অগোচরে তোমার টেবিল ঘাঁটাঘাঁটি এটা সেটা নেড়ে চেড়ে দেখা
একদিন টিসর্ট ঘড়িটা পরতে গিয়ে হাত ফসকে অচল করে ফেলা।
জানি এগুলো কিছুই থাকবেনা আর মগজের আনাচে কানাচে
নতুন কোন স্মৃতিতে ভরে উঠবে নতুন নিউরন
জেগে উঠবে নতুন কোন গানের কলি কবিতার পয়ার ছন্দ
নাটকের একাংকিকা সিনেমার লং শট প্রবন্ধের পাদটীকা

তবুও
সোনালি ঘুণপোকা
আশাহীন রাতের গভীরে জেগে ওঠা ক্ষীনপ্রভার তারার মতো
ক্রমশ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে
জাগিয়ে রাখবে তোমার সুদর্শন মুখ গভীর দৃষ্টি গম্ভীর কণ্ঠ
অচেনাকে চেনার আহবানে লাল সূর্যের আলোয়।

১৬.০৭.২০১৯
কাম্পালা