চতুর্দশী চাঁদ, ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়।
আকাশে ছড়িয়ে থাকে ভাঁড়ারের কানা
আধফোটা সোমরসের স্বাদ
অভিমানী শুকতারা
আর গম্ভীর অন্ধকার।
পঞ্চদশী থেকে ষোড়শী বা অষ্টাদশী
যখন উত্তাল আকাঙ্ক্ষাদের লজ্জাহীন হবার কথা
তখন ডানা মেলে লুকাবার সাধ।
নীলাভ সবুজ বসুন্ধরার স্নিগ্ধ আড়ালে
নিঃসংকোচে যৌবন তুলে নেয় বেলাশেষের ছায়া।
আরশিতে মুখ তোলে মেঘলা স্মৃতি
রাত পোহানোর গানে ঘুমায় গহীনের ডাক।
নিকষ কালো আকাশের দক্ষিণ কোণে
উঁকি মারে এক টুকরো প্রদীপের ছটা।
বাঁধভাঙ্গা গর্জনে ভেসে আসে অগ্নিপুচ্ছ ধুর্জটি
গন্তব্য খুঁজে নেয় পথের চিহ্ন।
মেঘেদের সাইরেন আর বৃষ্টির ঘণ্টাধ্বনি
রেশমের কাদামাটি ঘেটে ঘেটে
ছুটে যায় বুনো ফুলের মৃদংগ সম্ভারে।
শুধু অষ্টাদশী চাঁদ
ছাইপাশ না ভেবে
অনাগত যৌবনের তুঙ্গে ওঠে।
তারপর বেঁধে নেয় অসময়ের আত্মোৎসব
অস্তিত্বহীন বর্তমানতায় অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ পায়ে ঠেলে।
৫ মার্চ ২০১৮