সেদিনটা ছিলো অন্য দিনের মতই
ফাগুনের শেষের দিনগুলো যেমন হয় -
মধ্যগগনের সূর্য রোদটাকে প্রখর করে তুলেছে
একটা দক্ষিণ হাওয়া মৃদু তালে বইছে
লাল শিমুল আর পলাশের থোকা
তারি তালে তালে মাঝে মাঝে দুলছে।
লাইব্রেরির বারান্দাটা কিছুটা বিরান
তা সে তাপদাহের কারণেই হোক
কিংবা কাকতালীয়।
মুখোমুখি বসে আবোল তাবোল কথা
কখনো অনুচ্চ নিস্তব্ধতা -
রোজকারের মতই, আলাদা কিছু নয়।
হঠাৎ কিছু শব্দতান
সবকিছু বদলে দিলো অকস্মাৎ
বদলে গেলো বসন্তের গান
সুরভিত ঐকতান।
স্তব্ধতার গম্ভীরতা গুঞ্জরনের সপ্তক
ফাগুনের দীর্ঘশ্বাস চৈত্রের মন্দ্রক।
আমার বসন্ত ভেংগেচুরে ছড়িয়ে গেলো
বর্ষার অঝোর মন্দ্রভাষে
হেমন্তের হলুদাভ প্রান্তরে
শরতের নীলিমায় মেঘের শুভ্রজ্যোৎস্নায়।
আজও সেই সুরভি
দক্ষিণা পবনে ডানা মেলে
মাধুরিত মোহময়তায় মঞ্জরিত মাদকতায়।
রংধনু মাছরাঙার মতো ভেসে বেড়াই নদীর মায়ায়
নিজের ছায়া খুঁজে খুঁজে
ডুব দেই নদীর গভীরে
নদী তার বুক থেকে তুলে দেয় পদ্মনাভ
আমি মাখি সারা গায়ে মাস দিন সাল
বসন্তের আলাপ আর দক্ষিণা কল্লোল।
নদী মাখে আমার নীরবতা
শব্দহীন শব্দরাগ অজীর্ণ হিরন্ময়তায়।

১৩.০৩.২০১৮