সময়ের কাটা চলছে পাহাড় ডিঙিয়ে!
আমার তো মনে হয় আমার জন্মটা-
হয়েছে পর্শু দিনের আগে রবিবারে!
তোর সাথে যে অনেকটা বছরো কাটলো-
ছ'বছরের মাথায় কিছু একটা ঘটলো!
মাধ্যমিক পার করে কলেজে'তে পাড়া-
এর মধ্যে অনেকই হলো হাত ছাড়া।
ছিলো রাতুল ঐশ্বরী দিপু হাসি নাফী -
তারা ভর্তি হলো ঢাকা, টাঙ্গাইলে রাফি !
তুই আর আমি সেই গ্রামের কলেজে-
রয়ে গেলাম একই সাথে ঘটা করে!
দিন যায় প্রেম করে, ওটা করে-ঘুরাঘুরে।
আমার বয়স মাত্র আঠারো হলো যে!
পৌলমী তুই জানিস সবে শেষ হলো-
আমাদের মাধ্যমিক গন্ডি! শেষ হলো!
এরপরে আছে অনার্স মাস্টার্স কত কি
তোর জন্য একটি চিঠি, তুই এটা নিবি?
এটার মাঝেই লেখা আছে সব কথা-
জানি তুই পড়বি আর পাবি শুধু ব্যথা-
তবু এটা নিতে হবে! পড়তে হবে তোকে;
একটি কথা দুঃখ পেলেও বলছি তোরে মুখে।
আমায় তুই যা ভুলে, নাইরে কোনো লাভ!
মা আমার বলছে কথা এক্কে বারে স্রাফ-
আমার যখন বাড়ি ফরবো চাকরি নিয়ে,
তখন আমায় করাবে যে মায় বিয়ে।
পড়ালেখা শেষ করিতে হবে যে দেরি
ততদিনে পড়বে পায়ে তোর বিয়ে বেড়ি।