ঐ ছুটেছে রাখাল ছেলে গরু মহিষ নিয়ে,
'এহ বায় ঠাটবাট' যাচ্ছে দেখো মেঠো পথটি দিয়ে!
গরু মহিষ ডাকছে কেমন হাম্বা হাম্বা সুরে,
গ্রাম গুলো যে-পড়ছে দেখো, মাইল খানিক ঘুরে।
সবুজ গাঁয়ের পথ পেরিয়ে সবুজ মাঠের কাছে,
মাঠের কাছে নদীর পাশে একটি গাছ যে আছে!
গাছের নিচে বসে রাখাল দেখে মাঠের হাসি,
গরু মহিষ এক সাথে খায়, রাখাল বাজায় বাঁশি।
রাখাল ছেলের বাঁশির সুরে গাছ পাতারা দোলে,
নদীর পানি শীতল হয় যে ঝিনাইগাতীর কোলে।
গাছের ডালে হরেক রকম পাখির মেলা বসে,
দুপুর বেলায় সূর্য়্যি মামা কিরণ দেয় যে কষে!
রোদের তাপে গরু মহিষ আসে নদীর ঘাটে,
নদীর পানি পান করে যে ছুটে আবার মাঠে।
রাখাল ছেলে শুকনা খাবার ভিজায় নদীর জলে,
চিঁড়ে মুড়ি খেয়েই যে তার রাখাল জীবন চলে।
তারপরে যে বিকেল বেলায় গরু মহিষ নিয়ে,
'এহ বায় ঠাটবাট' করতে করতে মেঠো পথটি দিয়ে!
মাথায় নিয়ে ঘাসের বোঝা ফিরে নিজের বাড়ি,
এমন করেই রাখাল ছেলে দিচ্ছে জীবন পাড়ি।