আলো উঠলো জেগে হিম কুয়াশা ছেদে
ঘাসের মাঝে মুক্তা কণা ছিলো তখন বেঁধে।
পল্লিবালা মাঝিমাল্লা সবাই গেলো ঘাটে
লাগল গরু মই হাতে'তে কৃষাণ ছুঁটে মাঠে।
পাঠশালাতে যাচ্ছে শিশু শিথিল জামা গায়ে
মেঠো পথে'তে হাঁটতে গিয়ে শিশির লাগে পায়ে।
ছোট্ট তনি বলে তখন উঠছে ভারি রাগ,
এদিক থেকে বনিতা বলে দেখো কমলি শাক।
বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে থেকে, দেখে শিশুর পানে
শিশু গুলো কি পৌছে গেছে নাকি অন্য খানে!
ব্যর্থ হয়ে ফিরছে বাড়ি ছোট তনির মায়,
নীহার ছাঁয়া গ্রাস করিছে হালকা হিমে বায়।
এখন দেখো সূর্য্যি মামা দিছে কত্তো আলো
দিন দুনিয়া তরু লতা যে সবই লাগে ভালো।
রোদের তাপে পিঠ পুড়ে যে ভীষণ খরা রোদ
খারাপ লাগে তবুও এযে চকচকে তো পোত।
আবার দেখো বিকাল বেলা আবছা কুয়া পড়ে
আগে ভাগেই সকল জীবে পৌছে যায় ঘরে।
মেঘের বাড়ি বন্দি হয়ে সূর্য্যি থাকে রাতে,
আধার ঘরে বনিতা তনি ঘুমের তাঁবু পাতে।
তারিখ:১৮/০৯/২০১৯