বর্ষা শেষে শুকনো মাঠে ফলছে সোনা ধান,
কৃষক বাবু মুচকি হেসে পাইলো ফিরে প্রাণ।
বানের পানি সুর সুরিয়ে ডুকলো যবে মাঠে,
দুদিন পরে নৌকা ভিড়ে আমান তুলা ঘাটে।
আমন সোনা পানির সাথে পাল্লা দিয়ে পরে,
বানের পানি নিম্নে ফেলে মাথাটা বের করে।
বানের পানি দেখে কৃষক বলছে ‘খোদা হায়-
বছর যাবে কেমন করে আমন ডুবে যায়’।
পুত্র ছেলে মরবে বিধি না করাতেই ভুক,
বছর জুরে থাকবে নাকি এবার বলো দুখ?
দিবারাত্রি ডাকলো চাষী খোদা'কে মন খোলে,
আজকে মাঠে কৃষক হাসে ফসল মাঠে দোলে।
বানের পানি যেমন করে সুর সুরিয়ে ডুকে,
তেমন করে পানি আবার গেলো হেথায় চুকে।
আজকে চাষী দেখছে চেয়ে ফুলা মাঠের পর,
আমন পাতা সবুজ হয়ে পড়ছে মাঠে চর।
ঝিনাই পাড়ে হালট দিয়ে যাচ্ছে মানুষ হাঁটে,
দেওপাড়াতে উঠবে জানি খাকুড়িয়ার বাটে।
বলছে তারা ভিয়াল চকে আমন ফোঁটে খই,
সবুজ ধানে করছে খেলা দেখ না দোলে ঐ।
বানের পানি ধোয়েই নিছে ভিয়াইলের জরা,
এমন করে ভিয়াল চকে ফসল দিলো ধরা?
গাঁয়ের যত হাইলা চাষী সবার মুখে হাসি,
আমন চারা ভেসেও যেনো যায়নি ফসল ভাসি।
সেদিন রাতে ডাকছে চাষী খোদার নাম ধরে,
বানের পানি দেখে কৃষক জায়নামাজে পরে।
সেই ডাকেতে খুশি হয়েই হয়তো দিলো বিধি-
আমন ডালা ডুবডুবি-য়ে ফসল ভরা নিধি।

২৮শ্রাবণ ১৪২৭;ভিয়াইল