- কাব্য?
- হুম!
- সম্পর্ক কি?
- সম্পর্ক একটা সমুদ্রের মত। বাইরে থেকে যার গভীরতা টের পাওয়া যায় না।মাঝেমাঝে আমরা গভীরতা খুঁজতে যাই। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না, এই গভীরতার তল খুঁজে পেলেই রহস্য শেষ।
- আর?
- একটি সুতোর দুই প্রান্তে দাঁড়ানো দুটো মানুষ। টান যে পাড়েই লাগুক, নড়বে দু'জনই।
- তুই কি দুঃখ পাস কাব্য?
- হুম!
- তোর মুখ দেখে কিছু বুঝা যায় না কাব্য।
- দুঃখ আমার মুখের মানচিত্র ছুঁতে পারে না।দুঃখ ছোঁয় আমার মনের মানচিত্র।
- আর?
- আর কিছু না। কিছু কিছু দুঃখ আমার মুখের কাছাকাছি আসে।আমি হাসতে থাকি। সেই দুঃখ আমাকে দুঃখিত বলে বাড়ি ফিরে যায়।
- কাব্য তুই আগাগোড়া একটা রহস্য।
- রহস্যতো আমরা সবাই। যে যত বেশি রহস্য সে তত বেশি চুপ।
- মানুষের এত রহস্য কেন? মানুষ তো সহজও হতে পারতো।
- সহজ মানুষ? সহজ মানুষের জটিল অংক সমাধান করার ক্ষমতা কারো নেই।
- মাঝেমাঝে তোকে আমার অজানা ভাষায় লেখা কোন উপন্যাস মনে হয়।
- জানা ভাষায় লেখা উপন্যাস হলেও কি আমায় বুঝতে পারতি?
- জানি না।
- খুব কাছাকাছি থাকা দুটো মানুষও কেউ কাউকে কোনদিন বুঝতে পারে না। আমার উপন্যাস তুই বুঝবি না কোনদিন। কবিতা দেখে যেমন কবিকে চেনা যায় না ঠিক তেমনই।
- তবুও কাব্য।
- আমি তো আমাকে কোনদিন লিখিনি।যা লিখিছি তা কেবলই একটা ছায়া। যে যার মত করে গড়ে নিয়েছে।
- চলে যাচ্ছি কাব্য। বৃষ্টি নামবে।
- যাহ।
- তুই যাবি?
- নাহ্!
- কোনদিন কি ভুল করেও বলতে পারিস না আমি যাবো তোর সাথে?
- ভুল করে যদি কোনদিন বলেও ফেলি তবে তুই সেটাকে ভুলই ভাববি।বিশ্বাস করবি না আমায় তখন।
তুই বরং বিশ্বাসেই থাক।
বিশ্বাসী মানুষও রহস্যময়। কিছুটা রহস্য তোরও থাকুক। তোর চারপাশ ঘিরে থাকুক কোন জটিল অংক। মাঝেমাঝে আমিও সে অংকের পাশে বসে একটু অবাক হই।