তারিখ ঃ - 18 /03/2023 ইং
রমাদানের প্রস্তুতি ।।
সাবান মাস বা তারও আগে থেকেই নিতে হয়
পবিত্র রমাদানের প্রস্তুতি -
তা হবে সামাজিক , নৈতিক , মানসিক ও শারীরিক
দৃঢ় চিত্তে নিয়ত করতে হবে সাওম পালনের
যে কোন ভাবেই সাওম পালন করবো ।
কেননা , মহান আল্লাহ পাক বলেন ঃ
‘’ সওম ( রোজা ) আমার জন্য আর আমি নিজেই
দিব তার প্রতিদান । ‘’
প্রয়োজন
রমাদানের পূর্ব থেকেই আত্মশুদ্ধির নিয়মিত চেষ্টা –
মিথ্যা কথা না বলা
অশ্লীল বাক্য ব্যবহার না করা
অন্যের গীবত না করা
হারাম স্পর্শ না করা
বিরত থাকবে অশ্লীল কাজকর্ম ও জেনা-ব্যভিচার থেকে
অবৈধ উপার্জন থেকে বিরত থাকা
সুদ , ঘুষ , এতিমের হক নষ্ট , জুলুম-অত্যাচার বর্জন করা
ওজনে কম না দেয়া
পণ্য-সামগ্রী মজুত না করা
খাবার বা কোন কিছুতে ভেজাল না মেশানো
ইত্যাদি খারাপ কাজ থেকে নিজকে বিরত রেখে
যাবতীয় মানবিক গুণাবলীর চর্চা ও অর্জন ।।
তাছাড়া ইবাদত ও পুণ্য আমলের অবিরত অনুশীলন –
বেশী বেশী এস্তেগপার পাঠ
প্রতিদিন অসংখ্য বার রসূলের ( সঃ ) দরুদ পড়া
জামাতে নামাজ আদায়
অর্থসহ পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত
যত বেশী সম্ভব নফল ইবাদতে রত থাকা
বেশী বেশী দান-উৎসর্গ করা
সৎ কাজের প্রতি প্রবল ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা থাকা
এসব করণীয় ও বর্জনীয় সমূহ মেনে
সাওম পালন করলেই সত্যিকার ভাবে
হতে পারবে সায়েম বা রোজাদার
এবং করতে পারবে তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন ।
রমাদান শুরুর অনেক পূর্ব থেকেই
প্রস্তুতি হিসেবে এগুলোর নিরলস করতে হবে অনুশীলন ।।
মাহে রমদানের পরেও
রোজা পালনকারীর পুণ্য আমলের রেশ
তাঁর জীবনে চলতে থাকে
ঝরণা ধারার মতো গতিশীল ও সাবলীল ! !
তাই হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) বলেছেন ঃ
‘’ যে পারলো না ত্যাগ করতে
মিথ্যা ও অপকর্ম ,
তার দিনের বেলায় পানাহার থেকে
বিরত থাকা আল্লাহর কাছে নেই প্রয়োজন । ‘’
- শরীফ নবাব হোসেন ।