তারিখ : - ১২-০২-২০২৪ ইং ।
জীবনের চিরন্তন বাস্তবতা ঃ
শরীফ নবাব হোসেন ।
যতদিন বেঁচে থাকি আমরা দুনিয়াদারী নিয়ে খুবই মশগুল থাকি । স্বার্থের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সবকিছুই ভুলে যায় । করে ফেলি অনেক অন্যায় কাজ । ভালো মন্দ হিতাহিত জ্ঞান থাকে না । সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের মোহে পড়ে জীবনে কতই না অঘটন ঘটায় । কত মানুষের কত ক্ষতি করে ফেলি তার নেই ইয়ত্তা । পদে পদে করি ভুল । একসময় দিতে হয় এসব অতি ভোগ ও লোভের মাশুল ।
নিজের স্বার্থের কারণে এ ঘুণেধরা সংক্ষিপ্ত জীবনে মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকি । মানুষের প্রতি করি অন্যায় অবিচার । মানুষ কে ঠকানোর জন্য কতই না চেষ্টা করি । কতরকম বুদ্ধি ফন্দি ফিকির আটি মানুষ কে বোকা বানিয়ে কীভাবে নিজের বেশী বেশী লাভ করা যায় । চলার পথে মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করি । অপরের হক নষ্ট করি । জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন দমন-পীড়ন চালায় অবলীলায় । শরীরে যখন তাকত থাকে তখন কোন কিছুইকে পরোয়া করে না এ মানুষ ! ধরাকে সদা সরা জ্ঞান করে । অর্থাৎ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষ হর হামেশা অন্যের ক্ষতি করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না । ।
কিন্তু মানুষের দিন সবসময় একই রকম যায়না । তাদের জীবনেও দুঃখ দুর্দশা দুর্ভোগ নেমে আসে । জীবনে পতন আসে । দাপট কমে আসে । জীবনের ভরা যৌবনের শেষ বিকেলের ম্লান আলোছায়া চারিপাশে ঘুরপাক খায় । হঠাৎ একদিন মৃত্যুর যম দূত এসে হাজির হয় । তখন সে কাউকে এক মুহূর্ত সময়ও দেয় না । এর মধ্যেই বর্ণাঢ্য বর্ণিল সরব দাপুটে স্বপ্নময় জীবনের অবসান হয় সেকেন্ড সময়ের ব্যবধানে ! !
আমার বক্তব্য হলো ঃ সময় থাকতে অর্থাৎ মৃত্যুর দূত আসার আগেই আমরা যেন আমাদের স্ব স্ব অপকর্মের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় । স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাই নিজেকে অপরাধী মনে করে বিনয়ের সাথে সমর্পণ করে । কারণ আমি এবং আমার দ্বারা যিনি ক্ষতিগ্রস্ত উভয়ে যে কোন সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারি । তখন মাপ চাওয়ারও সময় থাকবে না ? ? সময় থাকতে ওমন ক্ষমা চেয়ে নেয় , নইলে মরেও আত্মার শান্তি পাবি নারে । ।
শরীফ নবাব হোসেন ।