চৈত্র সংক্রান্তির বেলা দুয়ারে হালখাতা হিসাব নিকাশ
জমেছে চড়ক মেলা রং বেরং এর ব্যসন বিলাস,
চৈতি ফুলের হাসি নাটা বনে সজারুর দশা
বোশেখে বাঙ্গীর ক্ষেত কৃষকের অনাবিল আশা।
তোমার সলাজ চোখ মোহিনী শস্যের সবুজ হাসি
সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছিরা করিছে নাচা নাচি,
আনমনা কিশোরী চিকন গলায় গাইছে গান
সময়ের বিবরে ধীরে হেটে চলে যায় অঘ্রান।
ধানের শীষ সবে ভরিতেছে সাদা দুধের তরল
আলোর রেখা মুছে দেয় দূর নিশীথের তল,
দূরের গাও গেরামে ধীর পায়ে সন্ধ্যা নামে
ফসলের মাঠে নিড়ানি হাতে কৃষকেরা ঘামে।
ভাদ্রের খরতাপে পুড়ে যায় ফসলের মাঠ
তাল পাকা গরমে জলহীন জলের কপাট,
চালতার ডালে বসে সবুজ টিয়াদের মেলা
মেওয়া গাছের ডালে কাকাতুয়াদের হাসি খেলা।
কাকতাড়ুয়ার মুখে দেখা যায় কৃত্রিম হাসি
এক পায়ে দাঁড়িয়ে বিনোদন দেয় রাশি রাশি,
নদীতে নৌকা নিয়ে নামিয়াছে জেলেদের দল
ভোদড়ের ধাওয়ায় জালের দিকে ছুটে মাছেরা নাকাল।
দোল পূর্ণিমার রাতে আমার উঠোনে হাসে চাঁদের আলো
আমি তাই অহর্নিশি উহাদের সাথে রই বেসে যাই ভালো।