উল্লাস আর উল্লাস চারিদিকে
কি আশায় বুক বাধে নির্মোহ অন্ধকার...,
সবুজ আর সবুজে ভরে আছে
কৃষকের আপ্লুত চোখ।
আপাত শ্রাবণ সন্ধ্যায়
এলোকেশি মেঘ উড়ে যায়
দিক দিগন্তের সীমানায়,
বিপন্ন সারসের ঝাঁক ত্রস্ত উড়ে চলে
ফেলে যায় একরাশ ধ্বনি
কোয়াক্ক ... কোয়াক্ক ...।
শুনশান নীরবতার ওপর নির্মম চাবুক হানে
লুকোচুরি খেলা মেঘ -...,
তাই দেখে খিল খিলিয়ে হাসে
গুটি গুটি পায়ে হাটা ছোট্ট ছোট্ট হাসেদের ছানা।
ঘুম থেকে আচমকা জেগে উঠে
ওদের সাথে খাতির জমায় আমাদের বালিয়া (আদুরে বিড়াল ছানা)।
যে ঘরে এখন আমি শুই
খাই দাই, আয়েশে বিশ্রাম নেই
দিবা স্বপ্ন দেখি ... কুড়ি বছর পর...
সিনেমার সিকুয়েন্স রিলের মত
সেখানে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে যে জনেরা
তাদের দেখার চেষ্টা করি
তাদের প্রগল্ভ কথার শব্দ শুনি।।
অথচ আমার ঘোলাটে চোখে
শুধুই শূন্যতা... তার... তাদের... তারাদের... উল্লাসের শব্দ
কেমন যেন বেঁকে বেঁকে উড়ে যায় ...
দাবা নলে বন পোড়া ধোয়ার মত ...,
কৃষকের আপ্লুত সবুজ চোখ
যেন সরিষার ফুল হয়ে মিশে রয় ধরণীর গায়
শ্রাবণের আপাত সন্ধ্যায়...।