অনাবিল বর্ষা আর নিঃসঙ্গতার ছদ্মবেশ
তুমুল ঝড়ে আকাশ বিশৃঙ্খল।
নদীর স্রোতে হারায় মন, হারায় পথের দিশা,
ঘন মেঘের ভেলা ভেদ করে শুধু শূন্যতার মন্ত্র।
পদ্ম পাতায় বর্ষা নাচে যেন দাদরা তালে
তানপুরা বাজে, মন অবিশ্রান্ত চঞ্চল।
চুপিচুপি বৃষ্টির ফোঁটা জানালায় কাঁদে,
অশান্তির সুরে বাজে অবিশ্রান্ত সঙ্গীত,
নিস্তব্ধ রাতের মাঝে হারিয়ে যায় দিন,
জীবন যেন ঘন অন্ধকারে হারায় পথের দিশা
আলু থালু মন কারে যেন খোঁজে
বিনিদ্র নিশি নীতি হীন।
নিঃসঙ্গতা রূপ পাল্টায়, ছায়ার মাঝে লুকায়
অবিরাম ঝরে সময়ের প্রতিটি ফোঁটা,
স্বপ্নের রঙ ছুঁয়ে যায় অচেনা কোনো ভূমি,
মেঘের ভেতর লুকানো নির্জনতার স্বপ্ন
উড়াল দিতে চায়, ছুতে চায় আচেনা সৈকতে
তার বাতাসে দোলানো আঁচল খানি।
এই আষাড় ঘন বর্ষা আর ছদ্মবেশী নিঃসঙ্গতা,
জীবন বয়ে যায় সময়ের খেয়ায়
অচেনা খেয়ালি গন্তব্যে।
অন্ধকারে হারায় আলো, হারায় সব রং,
শুধু বৃষ্টির ঝরে পড়া তালে বাজে মনের সুর
চুইয়ে চুইয়ে পড়ে কাব্যে।