হয়তো আজও তারে খুঁজে ফেরে
অশরীরী সুরঞ্জনা নিকষ কালো অন্ধকারে
লাশ কাটা ঘরে অথবা স্মশাণের কিনারে।
হয়তো জীর্ণ ক্লিষ্ট কচ্ছপের বেদনার ঘন অন্ধকারে
ধীর লয়ে চলিতেছে পৃথিবীর মায়ার সংসার।
হয়তো বুকের গভীরে টেক টনিক
প্লেটের ঘর্ষণে জন্মিতেছে পুঞ্জিভুত ক্ষোভ।
নীরবতা ভেংগে সাদা সাদা বলাকার মত
উড়ে এসে ধুসর মেঘের দল সহসাই বৃষ্টি ঝরাবে।
হয়তো ধান কাটা ধেড়ে ইঁদুরের গর্তে
লুকিয়ে আছে বিষধর সাপ।
তবুও সুরঞ্জনা ফিস ফিস করে
নির্জন আঁধারে আজও ডাকে তারে।
যদি তার পূর্ব জন্মের পাপ
কিছুটা ক্ষয়ে যায় ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের মতন।
রাক্ষুসে অভিকর্ষ বলের রহস্যময় টানে
তারে শুধু উপরে টানে কৃষ্ণ গহ্বর।