আজ আকাশে চাঁদ উঠেছিল বেশ --
জ্যোৎস্না পিয়াসি শৃগালের মন নিয়ে
গৃহস্তের উঠোনে র পর উঠোন পেরোই,
সবকটা মুরগীর খোপ আজ তালা বদ্ধ।
সাবধান হতেই হয়,
কারণ গৃহস্তের শানিত চোখ
যেন হালাকু খানের তরবারি।
নাগাল পেলেই কচুকাটা!
অথচ সিংহের ক্ষিপ্রতা নিয়ে
আমার অনুসন্ধিৎসু মন,
শামুকের মত খোলস বন্দি
হয়ে বসে থাকে।
মনের আর কি দোষ বলো?
সে তো সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে
তোমার সনে
সঙ্গীত গাইবে বলে বসে আছে...।
অথচ তোমার সচেতন অবহেলায়
তীব্র অপমানে জ্বলে উঠেছিল অবচেতন মনের
উলুখাগড়া র বন---,
আর ছুটে গিয়েছিল শত শত হেলিকপ্টার...।
রঙ্গীন রাসায়নিক দিয়ে আগুন নেভানোর কত চেষ্টা!
উল্লুকের বিকট চিৎকারে সকালে ঘুম ভাঙে,
উল্লুকের আর কি দোষ বলো?
চিড়িয়াখানা র পাশেই গৃহস্থালি হলে
যা হয় আর কি?
হ্যা তো উল্লুক--- কে যেন বলেছিল
একটি বড়সড়
সাজানো বাগান ধ্বংস করার জন্য
একটা উল্লুকই যথেষ্ট।
তো আমাদের সমাজে উল্লুকের সংখ্যা কত?
নাকি আমাদের পুরো টাই উল্লুক ময়?
পত্র পল্লবের সীমাবদ্ধতায় ঘেমে নেয়ে ওঠে
আমার বুকের পর্ণ কুটির,
আলগোছে সীমান্ত পেরিয়ে যায়
গোরু পাচারের দালাল।
কাছা মারা লুঙ্গি আর পাচন হাতে
সামলায় বি জি বি, বি এস এফ।
পিথাগোরাসের সূত্রে মাপা
সীমান্তের প্রতি ইঞ্চি নখ দর্পণে,
ঈগলের ক্ষিপ্রতা নিয়ে
পার করে নিয়ে আসে আবাল আর ষাঁড়ের দঙ্গল!
হায়রে পাচন! তোর ভয়ে আজ
সব দেবতা এক ঘাটে পানি খায়!
পাচন - গোরু পেটানো লাঠি।