পৌষের প্রান্তরে বসে একা, শির শির শীতের বারতা
দিয়ে যায় ঝরা পাতা
শ্বেত শুভ্র বকেদের নীড়, মাথার উপর রক্তিম সুর্য থাকে
দোলনা ঝাঁপায় অবুঝ শিশু
নিস্তরঙ্গ জলের মাঝে এক খণ্ড নিঃসঙ্গ দ্বীপ
প্রকৃতির প্রতিবিম্ব আঁকে।
দূর আকাশে নক্ষত্রের সূত্র খোঁজে,
পরিক্রমনরত উড়ন্ত ত্রস্ত আবাবিলের ঝাঁক
হন্যের বিলে ভেজা নরম মাটিতে, কাদা খোঁচা
এঁকে দেয় অগভীর ত্রিশূল পায়ের ছাপ।
চোখের সামনে দুলে ওঠে, ব্যবিলনের শূন্য উদ্যান
বৈরুতের বাতাসে বারুদের গন্ধ, কাঁপে লেবানন
অথচ আমরা নির্বিকার চেয়ে থাকি, হুতি ওড়ায় বিধ্বংসী ড্রোন
হিজবুল্লাহ্ ছোড়ে প্রতিশোধের আগুন।
অশ্রুর পুরানো পুকুর পাড়ে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় গন্ধ গোকুল
স্বৌরাচারের মায়ায় কাঁদে, একদল শকুনি আর অন্ধ নকুল
গোয়েবলস গাঁজায় দম দিয়ে, কত কিছু ভাবে
সত্যিই হাসি পায়, যখন দেখি পিপীলিকা
হাতির পায়ের ওজন মাপে।