সেই নাটরের বনলতা সেন
যার কাছে দু দন্ড শান্তি খুঁজেছিল কবি
শোনা যায় সে ছিল আসলে
কাকাতো বোন আসাম চা বাগানের
আধুনিকা শোভনা বেবি।
আহা! শান্তি যে মরিচিকার বেশে
লুকোচুরি খেলা শেষে কুহক জাগায়
জনতার ভাগ্য আকাশে
সেকথা বুঝেছিল সিরাজ পলাশির মাঠে
১৭৫৭ এর বাটে।
সেই বনলতা আজ ঢাকাইয়া শাউড়ি
পানের বাটা নিয়ে
পুরান ঢাকার ঘরের দাওয়ায় বসে
আসর জমায় - নবাবের প্রাসাদ থেকে
হাসে ঘষেটি বেগম।
সিরাজের পরাজয়ে সকলে মীর জাফরেরে দোষে
আড়ালে মুচকি হাসে জগৎ শেঠ উমি চাঁদ
রায় দুর্লভের কাণি বক সুলভ লোভ আর ষড়যন্ত্র
সেকথা আজ সকলের জানা হয়ে গেছে।
আর নেবুচাঁদ? সেও তো কম কিসে?
ওদের ধরে পিছমোড়া করে বেঁধে
ব্যাবিলনে নিয়ে এসে চুল কাটানোর কাজ
করিয়েছে সেও তো হাজার বছর।
আজও চোখ বুজলেই দেখি কত লোভ
কত ষড়যন্ত্র ওড়ে বাংলার আকাশে
সুদর্শনের বেশে
এখনও ঘরে ঘরে আছে বিভীষণ
আমরা ধানের শীষে শিশুদের হাসি মুখ দেখি
আয়নায় চেয়ে দেখি ভুতেদের উদ্বাহু নাচন।