এখানেও হেমন্ত আসে, হেমন্ত চলে যায়…,
ভোরের গুমোট কুয়াশা শিশির হয়ে
ঝুলে থাকে দূর্বা ঘাসের গায়।
এখানে কাশফুল নেই .,
ঝাঁকে ঝাঁকে রাজ হাস দল বেধে,
ভেজা ভেজা সবুজ ঘাসে
উড়ে এসে জুড়ে বসে,
ঠুকরে ঠুকরে খায়।
কখনো কখনো শহর ছাড়িয়ে
নির্জন রাস্তার পাশে,
কদমছাটা ঘাসের প্রান্ত সীমায়.,
ঝোপের কিনারায়,
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা
হরিণ শিশু, ময়ূর অথবা তিতিরের ঝাঁক দেখা যায়।
দোয়েলের শীষ শুনি নিকো বহু দিন…,
তবুও এখানে আকাশ কাঁদে, বৃষ্টি ঝরায়,
মেঘ গুড় গুড় শব্দে এখানেও
ময়ূর পুচ্ছ পেখম নাচায়।
এখানে ধুসর সারসের পায়
ম্যাপল লিফ মমতা জড়ায়।
সারসের অনুসন্ধিৎসু চোখে
আগুন রঙের মেঘ-জলের প্রতিবিম্ব,
অদ্ভুত আবেশ ছড়ায়।
এখানেও ঝরা পাতা হেমন্তের উদাস অপরাহ্নে
বাউরি বাতাসে দোলে, ঘুরপাক খায়।
কুইবেক সীমান্তে সারি সারি পাহাড়
আকাশে হেলান দিয়ে ঘুমায়।
এখানে দোয়েল, ফিঙে, কোকিল নেই…,
তবুও হরেক পাখির বিচিত্র গান শোনা যায়।
সেই সব স্বাধীনতার গান…
যা আমাদের পুঁচকে পাখি চন্দনাও…
নির্ভয়ে গাইতে সাহস না পায়।