স্মৃতির পদচিহ্ন
স্মৃতির পদচিহ্নে আবার আঁকি অশ্রুর ঘর
এ যে বাঙালীর তীর্থক্ষেত্র, অমর সাক্ষী স্বাধীনতার
ধীরলয়ে হাঁটি_
দেখি, ষাটের দশকে বানানো ধানমণ্ডির বত্রিশে
শেখ মুজিবের বাড়ি।
পিতা! এই ভূমি বুক দিয়ে ছুঁয়েছিলাম
বুকের বদলে আমরাই বিবেক করেছি নিলাম
নইলে কী পারি
পাইপের টান মনে আসতেই যেখানে ছুঁয়েছিল দুইঠোঁট, পিতা ওই তো ঝুলানো কালোকোট
পরশ মাখানো পাদুকা তোমার
স্মৃতি ভরা বাড়ি, সাক্ষী স্বাধীনতার
আহা চোখ কেন ছলছল
মোটা কালো চশমাটা দেখে কান্নাটা বেড়ে গেলো
যে চশমায় দেখতে দেশ মাটি জনগণ,
সে চশমাই আজ দ্যাখে সাধারণ।
অশ্রুর লিখনে লিখলাম শোক বইয়ে , "পিতা, টুঙ্গিপাড়ার এক অখ্যাত কবি আমি, যা কিছু লিখেছি তোমাকে নিয়ে, আজ সবই তোমার স্মৃতির প্রতি দিলাম তুলে।
________________________
৪/১১/২০২২
বত্রিশে
আত্মজাকে নিয়ে বত্রিশে গিয়েছিলাম
বিকেলটা বড় স্মৃতিবহ হয়ে থাকবে ওর কাছে
একটি ছবিও তুলিনি ওখানের, হৃদয়ে গেঁথে রাখলাম
হয়তো কোন একদিন
পোড়াবে ওর মন, থাকবো না আমি
মুছে যাবে অতলান্তিক স্মৃতি
তবু এই বিকেলটা কাঁদাবে ওকে, অনেক কাঁদাবে
যেমন করে আমিও কাঁদি অহরহ
বাবার হাত ধরে আমিও একদিন এসেছিলাম বত্রিশে
রাসেলের সাইকেলে ঝরেছিল অশ্রু আমার
নীল সাইকেলটায় একদিন বিকেলের ঝিমানো রোদে টুঙ্গিপাড়ায় চড়তে দেখেছি যাকে
ঘাতকের গুলিও রেহাই দেয়নি তাকে
স্মৃতিগুলো আবারো ভাবালো, আবারো অশ্রুর কিনারে কিছু প্রশ্ন উঁকি দিয়ে গেলো
ঘাতক! তুমি কাকে হত্যা করলে?
শেখ মুজিব তাঁর নাম, একটি জাতির পিতা
আকাশ ছোঁয়া হিমালয় মানুষ!
_______________________
৪/১১/২০২২
★ আমার আত্মজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ৩২ নম্বরে ২২ সালের ৪ নভেম্বর বিকেলে। বাসায় ফিরে জোড়া কবিতা লিখেছিলাম। ৩২ নম্বর বাড়িটির বর্তমান পরিস্থিতিতে সে কবিতা দুটি আজ পোস্ট করলাম।★