আশ্বিনের দুপুর ঘেষে যে ঝমঝম বৃষ্টি তা পেরিয়ে উত্তরদিকে চোখ রাখলে কালো করে দেখা যেত হিমালয়
তারা জ্বলত না রাতে, নাচের ভঙ্গিমার পর্বত ঢেকে রাখে ওখানকার আকাশ
কাজ শেষে রাতের আঁধারে যখন ফিরতাম আস্তানায়
তখন খুঁজতাম, দেখতাম ধ্রুব তারা আরও ওপরে মিটমিট করছে।
আর এখন?  গুগল ম্যাপে সার্চ দিলে দূর্গাপুর বিরিশিরি
আর তোমাদের ঘরও দেখা যায় ।
কেবল শ্যাওলা পড়া মন দেখা যায় না, প্রেমাশ্রু দেখা যায় না! কলার পাতার আড়ালে ঠায় দাঁড়িয়ে কারো অপেক্ষা দেখা যায় না!
অথচ গুগল চেপে নেত্রকোনার মেয়েকে গান্ধর্ব মতে বিয়ে করে পাটগাতির ছেলে! সেখানে আবেগ নেই উচ্ছ্বাস নেই, ভালোবাসা নেই।
সবকিছু সময়। সময়ই কেড়ে খায় আগেকার আবেগ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা ।

আজও সুনসান রাস্তায় ছন্দ বিচ্যুতির মতো, একটা  বাড়ির বারান্দায় অবয়বহীন বসে থাকা আমার। নিদ্রাকুসুম দুপুরে সান্ত্বনাসূচক বৃষ্টি এলে কবিতাকে বলি, তুমিও আসো পরম আদরে তোমাকে রোমন্থন করি।