বাংলা কবিতা আসরে বেশ কয়েকজন কবি রুবাঈ/ রুবাই/রুবাইয়াৎ এবং লিমেরিক, ট্রায়োলেট টাইপের কবিতা রচনা করে থাকেন। তাদের মধ্যে, কবি রেজাউল করিম সোহাগ, কবি শাহ্ সাকিরুল ইসলাম, কবি শহীদ উদ্দীন আহমেদ, কবি সঞ্জয় কর্মকার, প্রণব লাল মজুমদার, কবি গোপাল চন্দ্র সরকার,কবি শেখ মোঃ খবির উদ্দিন, কবি মোঃ সানাউল্লাহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিবহ কবিতার সুর তাল ছন্দ এসব কবিদের মাধ্যমে আবার যেন প্রত্যাবর্তন করছে আনন্দের আতিশয্যে। কখনো কেউ শিখছেন, কেউ দক্ষতার ছাপ রাখছেন, কেউ অপরজনকে উৎসাহিত করছেন। আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি, কবিতার সম্প্রীতি, কবিদের সম্প্রীতি ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে, বাংলা কবিতা আসরের মাধ্যমে, অনলাইনের মাধ্যমে, প্রকাশমান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এসব ধরণের কবিতার জনপ্রিয়তাসহ গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল কবিদের প্রতি প্রবল ভালোবাসা ব্যক্ত করে এ আসরের একজন অত্যন্ত প্রিয়ভাজন মানুষ প্রকৃতির কবি হিসেবে ইতোমধ্যে প্রমাণিত কবি মোঃ সিরাজুল হক ভূঞা বাংলা কবিতাসরে
ভাবটা কিন্তু রুবাইয়ের (১)ও(২)
নামে ১২টি রুবাই ইতিমধ্যে পোস্ট করে ফেলেছেন। প্রখর মেধার অধিকারী বহু গুণে গুণান্বিত কবি অতি অল্প সময়ে প্রচুর দক্ষতার সাথে সুনিপুণ রুবাই সৃষ্টি করে বোদ্ধা মনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
"মনের জোর বাড়লো বলে তুতলা মুখে ফুটলো খই,
আগুন চোখে মুগুর খেয়ে এখন বুঝো কেমন দই?মাঘের শীতে ফাগুন ডেকে দায়টা বুঝি ভীমরতির
পড়তি বেলা ওজন রেখে হয়নি এটা মানানসই।"
---ওপরের রুবাইটি পাঠেই বোঝা যায় কতটা দক্ষ হাতে এমন নিপুণ কবিতা রচিত হয়েছে।
প্রেম ভালোবাসা প্রকৃতি, লোক ঐতিহ্য, খনার বচন, বানীময়, রম্যময় অতি মনোহর সুর ছন্দের দোলায় দোলায়িত করে তৈরী করা রুবাইগুলো কালের সাক্ষী হয়ে চিরকাল ভাস্বর হয়ে থাকবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
সমকালীন সাহিত্যের পাশাোশি চিরকালীন এ রুবাইয়াৎ এর সমৃদ্ধির জন্য কবির নিত্য কলম ছন্দময় হয়ে উঠুক, সে কামনাটুকু করতেই পারি। সবশেষে কবির আর একটি রুবাই পড়তে পড়তে বিদায় নিচ্ছি।
-"উড়ছে ঘুড়ি বাজায় তুড়ি দেখবে যদি আয়রে আয়,
নাচনে বুড়ি ঝুলের চুড়ি কোন সে মুখে ঘোমটা খায়।হিজল তলে সুখটা নিতে নাচনেওয়ালী আসলো সাথে
মায়ার টানে চোখটা মেলে দেখলে যারে পরাণ যায়।"