ইদানিং অস্থিরতার বাড়বাড়ন্ত
দহন চলছে চারিদিক
বুকের ভেতরে নেমে এলে গহীন ঘনরাত
আমি তলিয়ে যাই, আমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাই।
অথচ যখন জলের ওপর হেসে ওঠে একফালি
শীতগন্ধা চাঁদ
শত সমর্পণের মেঘভরা চোখে চেয়ে-
তখন আমি ঘনীভূত হই
আমার ভেতরে আশার প্রদীপও দুলে ওঠে।

প্রতিনিয়ত আমাদের জারিত যে মস্তিষ্কের অস্থিরতা
মৃত্যুর মতো সত্য যে অনুভব
স্মরণের সীমানাজুড়ে শূন্যতার যে ফসিল-
যাকে যায় না দেয়া পূর্ণতার সনদ
আবার যাকে যায় না দেয়া জীবনের অঙ্গিকার
সে অনুভবে তাড়িত হতে হতে
আবার আমি তলিয়ে যাই

দুঃখের এ জায়নবাদ ভাঙবার বিস্তীর্ণ আন্দোলনে
মনকে প্রবোধ দিলেও
দেহের অচলায়তন ভেঙে পারবো কি উঠে দাঁড়াতে আরেকবার?