বহুবার ভেবেছি, আবার ফিরবো গাঁয়ে
কোথায় সে প্রীতির স্বজন, জামতলা আমতলা পুকুরের ঘাট, পাঠশালা মুখে রেখে আসা কান্নাগুলো
এখনো কি ভুল করে, ভাবে কিনা চাঁদের শরীর
পথ জুড়ে এখনো থাকে কিনা পড়ে সেই
গুমোট অন্ধকার?

কোথায় সে গাঁয়ের মাঠ, ফসলের ক্ষেত! রাতের কানাকুয়া, বাড়ির উঠোনে ঝিঝি পোকা দেয় রেলডাক! আশ্বিনের মৃদুমন্দ হাওয়ায় দোলানো শাড়ি!
হায়! আমার শারদীয় উৎসবের আমেজি বেলা
স্মৃতির পিঁপড়ের পেটে হয়েছে বিলীন।

বহুবার ভেবেছি,
আলোহীন অন্ধকারে ফোটাবো আলোর উৎস পৃথিবীর
প্রেম সচেতনে কৃষ্ণের বাঁশিগুলো বাজাবো আবার
ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে শরতের রাতগুলো
করে দেবো পার
জ্যোৎস্নায় প্লাবিত হতে হতে ভেজাবো শিশিরে শরীর
হোক তার সাথে কোন মায়াবী পরশ
উন্মাদ দুপুর এলে পোড় খাওয়া সকালেরে ভুলে যাবো
ছায়ার শরীরে দেবো তুমুল নাচন

আসলে কি যায় ফিরে সোনালী অতীত আবার?
স্মৃতির কান্নারা কেবল ঢেউ তোলে স্বপ্ন হারাবার।

তবুও গোয়ালে খুঁজি বাবার রেখে যাওয়া গরুর বাথান
মায়ের পানের ডাবর, তবকের ঘ্রাণ সুমধুর
মাটির হাঁড়িতে জিয়োনো আমন চালের ভাত, ভাজা পুঁটি, রসের পায়েস
আহা! জীবন সত্য জেনে হারাবার বেদনারা মনের কবরে ঠাঁই খুজে নেয়
মন সে তো পাথর নয় সময়ে সময়ে সে কেবলই
লাবন্য হারায়।