তোর যেদিন জন্ম হলো সে ই তোকে প্রথম দেখলাম
দেখলাম জন্মাবার যন্ত্রনার পরও তোর মা হাসছে
সেদিনও ছিলো উনিশ তারিখ
আর আজও সেই উনিশ তারিখ
মাঝখানে উনিশ বছরে তোকে দেখিনি কখনো
জেনেছি, জীবন মৃত্যুতে জোর টানাটানি চলছিলো এতদিন, ভয়ানক ব্যধিই তোকে চলতে বলতে দেয়নি কখনো। অবশেষে আজ তোকে স্বজনেরা রেখে এলো মাটির গহীনে।

তোর মায়ের দিকে চেয়ে অশ্রু থামাতে পারিনি
তর তর করে চোখের সামনে মেয়েটা বড় হলো
পড়াশুনায় বরাবরই ভালো
আল্লাহর কুদরতী হাতে গোলাপের মত মেয়েটা হেসে খেলে বেড়াতো বাড়িময়
সরকারী চাকুরীও হয়ে গেলো একদিন
অমন অবস্থায় যে কেউ প্রেমে পড়তে চাইবে তার
হয়তো তোর মাও হয়েছিলো কারো প্রেমিকা

একদিন সেই লাস্যময়ী মেয়েটা মর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে জীবনের যুদ্ধে জয়ী হলো ঠিকই
ঘানি টেনে যাচ্ছে আজও অসহ্য যন্ত্রণার।
জানলায় আজও ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে
হয়তোবা অতীতের সুস্থ জীবনের স্মৃতি ভিজিয়ে যায় স্বপ্নময় আশাবাদী দুই চোখ

পোড় খাওয়া জীবনেরে আমিও টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছি শেষ খেয়া ঘাটে
তাই কারো কষ্ট কান্নায় আমারও কষ্টটা বাড়ে বহুগুণ
হয়তো বা অন্যেরও হয়
জীবনটা নাই বা হলো সুধাময়
তুই যদি থাকতি এই পৃথিবীতে ভালো, বেঁচে থাকা দিনগুলো
তোর মা, তোর বাবা জীবনের উপশম পেতো নিশ্চয়।
________________________
লেখাটা ২৩ সালের এইদিনের। একান্ত আপনার কারো কন্যার মৃত্যু নিয়ে বাস্তব চিত্র।