মা তোর কালো রূপে
(মাতৃ সংগীত)
মা তোর কালো রূপে দেখি আলোকময়ি সঞ্চিতাকে।
ভক্তি অর্ঘে হৃদয় জবা মা আমি দিয়েছি যাকে।।
১
আমি মা তোর অবোধ ছেলে,
দেবার কিছু নাই,
যা দেখি সব তোরই দেওয়া
তুলনা তোর নাই।
চোখের জল দিতে চাই ক্ষমা করিস ছেলেটাকে।
২
কালি দেখলে কালিমায়ের মুখিটি ভাসে,
মুখটা দেখে সৃখটা যমযাতনার পরবাসে।
বিশ্বরাজকে মা চরণপাশে রাখিস এই অভাগাকে।।
ওপরের লেখাটুকুর লেখক কবি ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী। আপাদমস্তক কবি, ভদ্রলোক। গতকাল বিকেলেও তিনি অসুস্থ অবস্থায় কয়েকটি গ্রুপে এ লেখাটি পোস্ট করেছেন। এটি তার জীবনের সর্বশেষ প্রকাশে দেওয়া কোন লেখা। পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করে ৬৫ বছর বয়সে তিনি গতকাল ০৪/০৪/২০২৩ তারিখ রাত ০৮.০০ টার সময় হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার গ্রামের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলায় মঠখোলায় তাকে দাহ করা হয়। আমার কলেজ পড়ুয়া জীবনে এ ভদ্রলোকের বাবার সাথে আমার পরিচয় হয়। অশীতিপর বৃদ্ধ ব্যক্তিটি প্রখর পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। পেশায় ছিলেন হোমিও চিকিৎসক। তারই পরম্পরায় কবি ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামীও গোপালগঞ্জ শহরে হোমিও চিকিৎসা সেবায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। পাশাপাশি সাহিত্য সাধনায় তার নিরলস মেধা ও শ্রম স্মরণযোগ্য। বাংলা কবিতা আসরে তার আগমন আজ হতে ১০ বছর ০৬ মাস আগে। অনিয়মিত পদার্পণে এ আসরে তিনি মোট ৪০৯ টি কবিতা এবং ৫ টি আলোচনা প্রকাশ করেছিলেন। তারই হাত ধরে এ আসরে আমার মতো অধমের যোগদান হয়েছিল। তার থেকেই শুনেছি তিনি এ আসরে এককালে মডারেশনের দায়িত্বও পালন করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুদিন তার সান্নিধ্য পেয়েছি। ছন্দ নিয়ে তার নানা গবেষণাধর্মী কার্যকলাপ ছিল। আজ তার সবকিছুর অবসান হয়ে গেলো। জানিনা মহাকাল তাকে কতটা স্মরণে রাখবে। আজ আমি দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।