অনেক গুলো স্বপ্নকে বুকে চেপে অবশেষে
সত্যিকরে যদি ভালোবাসা যেতো----
বুড়ো বট গাছের ছায়ায় বসে থাকা সেই
হুতোম পেঁচাটা আমাকে পিছন ফিরে ডাকতো বার বার
সীতারাম কাপালীর আধপোড়া ধুতিখানা
শান্তির পতাকা হয়ে
শ্মশানের বিরহ গান শুনিয়ে শুনিয়ে
হৃদয়ের প্রতিভাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতো স্নেহের আবেশে।
হাজার বছর আগের স্বপ্নময় মাছোর খালের ওপর
উড়ন্ত গাংচিল ভালোবাসার আদলে গড়া
তৃষ্ণার সরোবরে অবগাহনের আহবান জানাতো
তার হরিদ্রাভ ডানা ঝাপটানোর সংকেতে।
সত্যিকারে যদি ভালোবাসা যেতো
গয়েজউদ্দীনের আযানের ধ্বনি
শেষ রাতের ট্রেনে করে গ্রামের বিস্তীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে
চলে যেতো অচিন গাঁয়ের দিকে।
মেঠো পথে ফিরে পাওয়া সতীর্থ আপন
বাঁকা চোখে ফিরে চাইতো পিছনের দিক।
বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত
জড়াজড়ি সত্যিকার প্রেমাকুল আবেশ
পৌষের পিঠা পুলি--- অমৃত খেজুর রস
ফাগুনের গন্ধে আকুল সেই গ্রাম তেকাটিয়া
রঙিন চোখে দেখতে গেলাম অবশেষে।
**************************