এ মৃত্তিকাবাসে জনম জনম চেয়ে দেখি
দেখে যাই রাত্রির আঁধার ঠেলে উঁকি মারে
ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ, আকাশের তারা
জেগে থাকা পেঁচা
অথচ জানেনা আকাশ, জানেনা রাত্রির অন্ধকার
শুকতারা ডুবে গেলে পর
আলোয় আলোকিত ভোর কড়া নাড়ে পূবের দরজায়
গাছেদের পাতায় পাতায় ঝিলিক মারে ক্ষণিকের রংধনু।
জীবন জীবনের কাছে, করে বন্দীর বিনিময়
সময় সময়ের ফ্রেমে বেঁধে, লেখে ইতিহাস
যতই লিখুক জীবনীকার
আজন্ম পালন করা শৈশব, কৈশোর, যৌবন
তারপর আর সত্যিই কিছু থাকে না লেখার
বুঝতেই পারেনা সময়
পরমায়ু নিয়ে গেছে মিশকালো অমবশ্যার ঘ্রাণ।
ভাবে না মানুষ, ক্ষণকালে দিক ভুলে ছায়াসঙ্গীও
সরে যায় স্মরণ থেকে--
কী আছে স্মরণ পারে?
আহা! "এখানে তো আসেনা আলোর ভোর
শুকতারা, আকাশের চাঁদ
জীবন তো আসলেই বোধের ওপর
আজীবন চেনাজানা এক মৃত্যুর ফাঁদ।