বাঙালির বোধের শরীরে জ্বাললে আগুন
তুমিও হতে পারো দুগ্ধ শিশুর মতো অসহায়
ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকা ছাড়া
কীইবা করার থাকবে তোমার?
চৈতন্যের দুপুর এলে, বাংলার আকাশে ফেটে পড়া রোদ্দুরে তোমার ঠিকানা কোথায় হবে?
অনুমান করে রেখো...অনুমান করে রেখো....
তোমাকে চিনেছে মানুষ, চিনেছে মায়াবী শরীর
তুমি তো কেবলই কুড়িয়েছো আপন রশদ
নাম যশ খ্যাতি
পেছনের হাত দিয়ে গরীবকে করেছো গরীব
লোপাটের অর্থ দিয়ে কিনেছো অন্ধ বিবেক
তুমি এক রক্তচোষা জোঁক, হায়েনার অনুচর
পেছন থেকে ছুরি মারবার যমদূত
তুমিও নিক্ষিপ্ত হবে বাঙালির ঘৃণার ভাগাড়ে
মনে রেখো... এ কথাটা মনে রেখো...
আয়ুর শেকলে কতকাল রাখবে বেঁধে জগদীশ্বর?
প্রান্তিকে ঢলেছে সূর্য ওই
প্রগাঢ় অন্ধকার বরিত হবার সময় আগত প্রায়
প্রফুল্ল চিৎকারে নেচে আর কী হবে সোয়াচান পাখি?
আসবে না তোমার আকাশে সুস্মিত ভোর।