ভালোবাসা বিষয়টা কবে মাথায় ঢুকেছিল
মনেও পড়ে না
তয় যে রাত্রে জুঁই নামের মেয়টাকে স্বপ্নের মাঝে
চুমু খেয়ে তিনদিন স্কুলে যেতে পারিনি
তখন কিছুটা বুঝলাম ভালোবাসা মানে "লজ্জা "
কৈশোর মনে সেই যে লজ্জাটা লেপ্টে গেলো, অসুখের মতো....
কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখলাম লীলা বৌদি আমাকে আদর করে চুমু খায়,
শরীরের কোথাও কোথাও হাত বাড়ায়,
আমাকে কিছু বলতেও চায়।
তখন অল্প অল্প বুঝি এর নাম ক্ষুধা।
বিএসসি স্যারের ক্লাসে যেদিন চোখ মেরে
ডাস্টারের বাড়ি খাই,
চ্যাগা নামের মেয়েটি তখন খুব করে হেসেছিল
রোগা পাতলা বলে আমি তাকে চ্যাগা বলে ডাকতাম
সে ই একদিন এসে বললো, "তোর কবিতা আমার
খুব ভালো লাগে।"
বুঝতে পেলাম এর নাম অনুরাগ।
তারপর স্কুলশেষে লজ্জা ক্ষুধা আর অনুরাগ নিয়ে শহরপথে ঘুরলাম কত দিবস-যামিনী।
মনে হয় আমি যেন কারো আশায় ক্ষণ গুনি,
সেই ক্ষণ গুনতে গুনতে লীলা বৌদির চুল পেকে সাদা হয়ে গেলো, গাঁয়ের সেই জুঁই নামে কিংবা আমার কবিতা ভালোলাগা চ্যাগা নামের মেয়েটির লজ্জা
আর অনুরাগের সঙ্গী হবার সুযোগ অথবা সময় হলোনা কখনো
অগুনতি পথের কাছে আমি দিশাহীন রয়েই গেলাম।
এখনো আমি আলপথে সঠিক নিশানায় হাঁটতে শিখিনি বলে কবি হতে পারিনি
আমার মনে তাই প্রেম নাই, ভালোবাসা আর নারী নাই, ফুল পাখি আর আকাশ নাই, ঠোঁটে চঞ্চল হাসি নাই, কুহেলী আঁধারে বাতি নেই।
এই অসময়ে কেউ আর বাতি হতে আসবে কি?
*****************************
টুঙ্গিপাড়া,