যে যাবার সে গিয়েছিল আশা তরী নিয়ে
বুক পেতে প্রসারিত বাহু পেতে নিলো উপহার
বুকের অরণ্য জুড়ে ঢেউ তুলে দিয়ে গেলো বাংলা
সেই থেকে খুলে রাখি বেদুইন জানলা।
আমি বর্ষার কাঁদামাখা উঠোনে খুঁজি তার
নির্বাক পায়ের ছাপ
টেবিলে সাজানো বইগুলো কিংবা করতল ছোঁয়া
জোছনায় রাঙানো মখমলে খুঁজি স্মৃতি
খুঁজি মোটা চশমায় ঢাকা তেমন বারুদ চোখ
সৃষ্টির আগুনে পোড়া তৃষ্ণার্ত মন।
দেখি, একঝাঁক হায়েনা চেটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে সব
বেশরম, পতাকা মনুমেন্ট আর রক্তকে মাড়াচ্ছে দেদার।
কান্নায় নত হয়ে লাভ কি আমার?
ভুল পথে হেঁটে হেঁটে বাড়ানো আকাঙ্খারা খোঁচা মারে বুকের ভেতর। হাহাকার করে ওঠে মন!
তারপর ; আমি আর আমাদের অগুনতি ভাইবোন
আঁধারের বালুচর খুঁড়ে আজও করি খাবার অন্বেষণ
রোদ আর বৃষ্টিতে কাঁদাজল গায়ে মেখে
দাঁড়াবার করি আয়োজন।