আমিও কী অজুত দুঃখের নামতা গুনে গুনে
রাতভাঙা জন্ম নিয়ে পোড়াবো
আরও একটা নিলয়!

আজকাল কিচ্ছু ভালো লাগে না!
শিশিরের চুল
গোলাকার চাঁদ
রোদসাদা ফুল
কিচ্ছু ভালো লাগে না!

অতিদীর্ঘ কান্নার
আঙুলের ভাঁজ ভেঙে সমুদ্রশ্রবণ
আদিম অশ্বের পিঠে
কষ্টের শিমুল সুতোয় বাঁধা
স্বপনের ভেতরে স্বপন!

জনৈক জিজ্ঞাসায়
ভুলে যাই পৃথিবীর জ্যামিতি,
ভুলে যাই ফিরে আসা,
ভুলে যাই স্মৃতির কবিতা,
ভুলে যাই কালি ও কলমের সম্পর্ক,
ভুলে যাই মীন-প্রজাতি!

অনেক কিছুই মনে করতে চাই
দুধমাখা চাঁদ,
নৈ:শব্দের নীল,
লাবণ্যরাত,
হেলেন উপাখ্যান,
ধুর শালা!কিচ্ছু মনে নাই!
হলুদ হরফে ঢাকা প্রাপ্তবয়স্ক মস্তিষ্ক বিকৃতি।

মা এখন আর আগের মতো নেই
আজকাল সারাক্ষণ ভুলভাল বকে
নির্বাক চেয়ে থাকে কড়িকাঠের দিকে
প্রশ্নবোধক চিহ্নে সনাক্ত করে
আমার শৈশব!

আশা বুকে পুষে
বন্ধ চোখে হাতড়াই সারাঘর
অনুভবহীন সময়!
নিঃশব্দ অন্ধকারে..

অনুভূতির খুচরোতে
রাত কান্নায়
মা’র হিসেবখাতা
সময় চেনে না বলে
নি:শ্বাসটুকু আটকে আসে দীর্ঘশ্বাসে...

শীতের রাত শীতকে চায় না
শুধু ধুনকার চায়!
কী বিচিত্র অনুভুতি!
কী বিচিত্র পৃথিবী!
বৃক্ষপত্রে খাণ্ডবদাহন ডানার
দহনে দহনে লোহিত অঙ্গার!
পোড়ে অন্ধকার!

আমি অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকারে যাবো
ঘাস ও গোবর খাবো
গোবরের চ্যাং দেখাবো
আদমের জলসা ঘরে!

অতঃপর
অতঃপর
স্রষ্টার সাথে তিনপাত্তি বা কন্ট্রাক্ট ব্রিজ চালু
তাঁর তুরুপের তাসের উপর আমার জোকারের ট্রাম্প
রক্তের মাঝে অধিক রাত্রে খেলি সাপ-লুডু!
-স্বপ্নময় স্বপন©