( ৬)
আমায় নিয়ে রঙ্গ করে
বন্ধু এবং আপন জনে
পাড়ার লোক আর অন্য সবে
সব রঙ্গই মুখ বুজে সই তবে
তুমি রঙ্গ করো না
দুঃখ দিও সহ্য হবে
রঙ্গ মোটে সইবে না।
স্বপ্নময় স্বপন©
(১৫)
তুমি এলে সূর্যি হাসে
বিদায় নিলে সন্ধ্যা
তোমার আমার কাব্যখেলায়
শব্দমালা বন্ধ্যা। স্বপ্নময় স্বপন©
(১৭)
চোখের ভেতর চোখ মেলো
তোমার অলিক তন্দ্রা ভাঙো
ভোরের আলো ফুটিয়ে চোখে
মোমের আলো নিভিয়ে দিয়ে
দেখবে বধির বাতিঘরে হাজার
তারার জোনাক জ্বলে
মহাকালের রশ্মি ফেলে
চোখের ভেতর চোখ মেলে
নিখোঁজ তোমার প্রেম যমুনা
তোমার চোখেই তার সীমানা
চোখ দিয়ে চোখ চুমি
এই পৃথিবীর প্রতিধ্বনি
তোমার হৃদে শুনবে তুমি।
স্বপ্নময় স্বপন©
(১৯)
কি করে ঠাঁই দেব বল তারে
অবিনাশী যে দুঃখ দিতে চাও মোরে
অদৃশ্যপ্রায় অনুহৃদে কি করে স্থান করি লবে
সে বলে গেল,স্থান করি লয় পৃথ্বী যেভাবে
পল্লবসম কৃষ্ণকোমল তোমার ডাগর আঁখিপটে।
স্বপ্নময় স্বপন©
(২৩)
জন্ম জন্মান্তর থেকে সমাজের ঘুণপথে
আদিম বাণিজ্যের বিকিকিনি বাড়বাড়ন্ত বিত্ত বৈভব
নিরন্ন মানবের ঝাঁক অনাদিকালের হাহাকার
বিপন্ন বসন্তে খরা বৃষ্টির দৈর্বদুর্বিপাক
অযাচিত মাতৃজঠরে কলঙ্কিত অভুমিষ্ট শৈশব।
স্বপ্নময় স্বপন©
(২৬)
“অবসাদের নীলে ভরে যায় চোখ
মরে পড়ে থাকে অর্থহীন বোধ!
বৃষ্টিতে ভেজে উড়ন্ত বিকেল
নিষিদ্ধ গোপন হয়ে নগ্নবুকে
আঁচড় কেটে যায় চিরচেনা ফেউ
স্মৃতির বিমুগ্ধ দীর্ঘশ্বাসে অপ্রাপ্তির ঢেউ”
স্বপ্নময় স্বপন©
( ২৯)
“তুমি শূন্য আমি শূন্য
জ্যোৎস্না, স্বপ্ন পাপ পুণ্য
প্রেম পণ্য আদিম অরণ্য
হৃদয়ের গভীরে ভেতরে ভেতরে
ক্ষণে ক্ষণে বদলায় মায়াবী লাবণ্য”
স্বপ্নময় স্বপন©