আসেনি এখনো চুমো নেবার সময়!
যদিও বাইরে ভারী বাতাস;
বিশ্বাসহীন একটানা ঝমঝমে বৃষ্টি
অবাক হৃদয় নেই
নিঃসঙ্গতার মুহূর্ত আছে কিছু
কেবল, অন্ধকার দিন হয়েছে থিতু
শ্যামল নলখাগড়ার সবুজ রক্তে
স্বপ্ন দেখে যাই
তোমার উপর নুয়ে থাকা নদীর!
কবোষ্ণ ঠোঁট বৃষ্টিতে ভেজা চুমো
ধূসর স্বর্গের
বৃষ্টিজলের মতো কটিখানি
এনে দেয় প্রত্যুষ
উজ্জ্বল আলোর নিচে
পাখি নয় পালক নয়
কটিখানি বৃষ্টিজল!
ধূসর বৃষ্টি!
ঠোঁট হতে বেরোনো
হাড়ের ভেতর একটা নাড়ির স্পন্দন
প্রখর শ্রবণশক্তি দিয়ে শোনে
মৌন কিছু শব্দ
লালাভ তপ্ত চুমো!
একমাত্র শব্দ, ধীর-লয়ের নিঃশ্বাস
অবিরাম নিচে ঝরে পড়ে
প্রবল বাতাস সাবলীল সমুদ্রে
স্নায়ুরজ্জু ধরে নামতে নামতে
রতিকাম কমলিনী দিগবিদিক শূন্য
আনন্দ নিকেতনে!
ঐ চলিষ্ণু বাতাস; ঐ সব শব্দে
পুড়ে যায় আঙ্গুলগুলো
ওঠে হাহাকার অঙ্গ- অঙ্গনে!
তোমার নশ্বর বাহুর আলিঙ্গনে
পরিষ্কার জল, অভিযোগ করে
আমার স্বল্প আয়ু নিয়ে!
সুকোমল এক স্তনের মতো
শরীরের বাইরে
অন্য কোনো নীরব হৃদয়ের শব্দে!
গভীর:দুঃখজনক!
এক অন্তিম মর্যাদা নিয়ে
চুমো রাখি উড্ডিন ফুলের সব আঙ্গিনায়!
এখন অক্ষর!
আমার সীমাবদ্ধতা
হেঁটে যাই আমার সমাপ্তিবিন্দুতে!
ঐসব কারণে,
যে বৃক্ষ তরঙ্গে তরঙ্গে বাড়ে তার প্রতি হবো সদয়!
-স্বপ্নময় স্বপন©