মেঘ বলে চৈত্রে যাবো
পলে-পলে স্খলনে
হাঁটু ভেঙে-পড়া
গুঢ় বেদনায়
মৃত স্তনের চোরাস্রোতে
আমি কিছু দুঃখ সাথে দেবো
॥
যাও
আমারও চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও
॥
তুমি কি মৌণ তৃণ!
আঁচলের উল্লাসে মেঘ ভেসে আসে
সবার অন্তরালে
লিখি চিহ্ননাম ঘাসে ঘাসে!
॥
মুখর জমায়েতে
জমেছে বালুর চর
চাঁদ ক্ষয়ে ক্ষয়ে
অন্ধকারের ভেতর অন্ধকার
শরতের শার্সিতে
ধুলোয় ঢেকে যাওয়া
ধূসর মগ্নতা
ফেলে রেখে যায়
॥
দাঁড়াও
আমারও নকশি সময়ে তীক্ষ্ণ টঙ্কার ছুঁড়ে দাও
॥
থেকে থেকে
কর্কটের বিষদংশে
মুঠিতে চাঁদ ধরে জোছনাকুড়ানি
মানবী থাকে না
অরণ্যকুহক ছেড়ে
স্বয়ম্ভূ নদী হয়ে ডানা ঝাপটায়!
॥
দিতে দিতে
চায়ে চুমুক
আঙ্গুলের শৈলীতে
সর্পিল সুন্দরের ফোঁস ফোঁস
॥
টান টান অনুভবে
মৃত্যুরেখা থেকে উল্টোপথে হেঁটে
আঙ্গুলের শৈলীতে
নিজস্ব অগ্নির অক্ষরবৃত্তে নতজানু হওয়া
আজন্মলালিত মুদ্রাদোষ
॥
অরণ্য কি অলিক
ধারালো আঁধার!
ধূ-ধূ বালিয়াড়ি
॥
মেঘের আরশ
খুঁটিয়ে দেখেছি
ময়ূর প্রবণ
আর্দ্র আকাশ
॥
মুদ্রায় নির্ভূল
নন্দিত নিভৃতির তালাশ!
॥
দ্বিধা জাগে-
পানশালা ছেড়ে
যদি
বাঁধতে না পারি
ছোট্ট এক আদনা ঘরে
কি করে ফিরি!
॥
জল থাকে
প্রতীক্ষায় –
মদ্যপ রঙতুলির ঋতুচিত্রের নক্সিকাঁথায়!
॥
থাকো থাকো
এই গৃহহীনেরেও সাথে রেখো॥
- স্বপ্নময় স্বপন©