আমি জন্মেছি, মরণশীলেরা যেভাবে জন্মায়!
আমার আছে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি
এবং একটি ঘাস!
আর
অনেক পাখির জানালাময় লাঞ্ছিত ঘর!
ব্যর্থ শতাব্দী ব্যর্থ সময়
হেঁটে গেছি আমি
রক্তের দরবারে
কথার যোগ্য একটি শব্দ বানাতে!
আবৃত্তি করি আকাশ
মেঘের জন্য!
আবৃত্তি করি নাব্যনদী
জলের জন্য!
যথেষ্ট হলো!
হতভাগ্য শতকের
সকল মানুষ- সুখী কিংবা বিধ্বস্ত যুদ্ধাহত
হতাশার আগুনে পুড়ছে
বছরের পর বছর
নগরীর শতসহস্র গোরস্তানে
বিধবার মত নিশ্চুপ নিস্তব্ধ
আমি লজ্জিত!
শব্দের কিনার থেকে
দীপ্ত অবিনশ্বর চাঁদ
শ্বাপদগুলোকে ছেড়ে দেয় শিস্ দিয়ে
অবরোধহীন!
প্রত্যুষের মৃদুল হাওয়ায়
দরোজার বাইরে
কেউটে সাপের খেলায় তাঁরাগুলো চমকায়
যখন গোধূলি ঘনায়!
তুফান ঝাপটে ব্যর্থ কিরাতের ফলা!
ধনুকের আর্তনাদে উড়ে বাতাসের ধূলা!
মেঘলোকে যুবরাজ! কবিও হেলায়
কুশ্রীতায় প্রহসন-পুত্তলি এখন!
পুরনো বৃক্ষ থেকে দুর্বিনীত নতুন সড়কে
আলোক বিচ্ছুরণ!
বিজয়ের মুখোশ পড়ে
পুড়ে ছাই হ’য়ে যেতে যেতে
শুধুই অলীক স্বপ্ন!
আমিও ঘুমাবো এবং সঙ্গে এই ভূখণ্ড!
আর কোনদিনও স্বপ্ন জাগাবে না আমাদের
যখন দক্ষ জীবন শেষে স্বপ্নের মরণ!
মৃত স্বপ্নে ঘটুক
জাগরণ!
-স্বপ্নময় স্বপন©