॥ ॥ ॥
বাড়ন্ত ঘাসেরা …
কাফেলা করছে
জবরজং সন্ধ্যায়
মাংসের হিমাংকে
অন্ধ হাওয়া জিরোবে এখানে —
॥ ॥ ॥
জ্বর আসার অপেক্ষা নিয়ে…
জানলা বদলে বদলে
জলের দাগ বরাবর কাঁটা অবধি
সাদাকালো কথা দেওয়া নেওয়া
মাংসের শব্দে শব্দে
এক রঙ এক ফ্রেম
॥ ॥ ॥
লালা ঝরে। লালা ঝরে।
চ্যাটচেটে লাভার শিখায় জিভের জ্বালানি
মাংসের দিগন্তে লেগে বাউন্স করছে
বরফের বলদ্বয়
রাস্তা খুলছে
স্নানবীয় প্রকল্পের ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া
মোরগঝুঁটির শীত
॥ ॥ ॥
জলরাশির ওপরে গুঞ্জরণ
মুখাবয়বহীন অন্তর্গত স্বর
কেউ ছুঁয়েও দ্যাখে নি
॥ ॥ ॥
পোড়া ভাষায়
যা কিছু জন্মদাগ
জলে পড়া পাতার বিজ্ঞাপন
॥ ॥ ॥
একটা দিনের ভেতর
এক-মানুষ-সমান বিকেল
ক্যামেরা ছিঁড়ে দেখে
দুটো জানলা
একটা এক্সপ্রেশন
॥ ॥ ॥
হাঁটুভাঙা মন
অন্ধকারে রৌদ্রসেবন করে
নাভি মুখে
উন্মাদনায় মত্ত
॥ ॥ ॥
রাস্তায় চেনেনা কেউ
বলেছে সবাই
আমি তার পায়ের কাছে
কাঁচপোকার মতো
ভিজে ভিজে, সবুজ সবুজ
আমিই রাজা
॥ ॥ ॥
যখন বৃষ্টি পড়ে
জনশূন্য বেঞ্চিতে প্রখর রৌদ্র পোড়ে
মাংসের খোঁজে চলে যাচ্ছে
প্রায়ান্ধকারে শাদা নগ্নতা
॥ ॥ ॥
ঘুমোনোর আগে।বেলা না ঘুমোলে
আলিঙ্গনকারীর আদিমতাটুকুই সৎ
দীর্ঘপথের দাগ কেটে ম্যাপে বসানো
ম্যাজিকের ১টা গোপনীয়
অগোপনীয়তার সাক্ষর
॥ ॥ ॥
কমলাওয়ালী আমি এবং অজস্র বান্ধবী
সঙ্গম দৃশ্যে ব্রোথেল ভ্রমন!
মৃত্যুর মতোন ফাঁকা বেবাক রাস্তাঘাট
শুক্রবার আজ
॥ ॥ ॥
ঘাসের ঘ্রাণ-সমুদ্র সঙ্গম পাবে বলে নুয়ে আছে
কাকরঙা অন্ধকারে খসড়া খোয়াবে
এক জোকার দ্যাখে-
এক আশ্চর্য ম্যাজিক!
॥ ॥ ॥
-স্বপ্নময় স্বপন©
#৩১/১০/২২