আস্ত এক ঘুমন্ত নদীর দেহজুড়ে ছেয়ে থাকে উষ্ণতার ধারাপাত
নকশী কাঁথার কামজ বাঁকের ইশারায় আমি মাতাল সারারাত
হেঁটে যায় আমার হতাশার দীর্ঘশ্বাস
অবসন্ন কালের উল্টোপিঠে
আগুনের খেয়ায়!
অন্য কিছু ভুল করে ভাবনা, অন্য কিছু অন্যত্র চলে যাওয়া
উঠোন পাড়ি দেয়া দাউ দাউ লবঙ্গ নিঃশ্বাস বসন্ত হাওয়া
সোনারোদ ভেঙ্গে উড়ে চলতে চলতে
কামনার শুন্যধ্বণির খড়িমাটি লেখা
স্নায়ুসুখ নাব্য গ্রীবায়!
হৃদয়ে বুনে থাকা অব্যক্ত অনুভূতির নির্ঘুমরাত আমায় সিক্ত করে
টেবিলল্যাম্পের পায়ে পিঁপড়ে ও পতঙ্গের দীর্ঘ ভিড় অজানিত রোগে
নারী ও মশা,রমনী ও রক্ত চোষা-হিংসার ধমনী!
রক্তনদী ছোঁয়া সন্ধিপত্রে অপূর্ব মায়ার শরীর
উজান-ভাটির খেলা!
স্রোতের গল্প নিয়ে নির্মল সৌন্দর্যকে আড়াল করে পাথুরে শৈবাল
ছন্নছাড়া ভালবাসার শ্রমে ভেংচি কাটে জুড়ে বসা ঝিঁঝিঁ পোকা
টেবিলক্লথের পোড়া কপালে দাহ ভরা অনন্ত রাতের নাভীমূলের ঘ্রাণ
ঠোঁট রাখে তন্বী তরুনীর সুডৌল ঊরুর অব্যক্ত যন্ত্রনায়
দূষিত সাম্রাজ্যবাদের নীতিহীন বেশ্যা!
চন্দ্রযান দুর্বোধ্যতা
বাসনাসম্ভব সত্যে চতুর্ভূজ মেঘলা আকাশ
মানুষ মানুষ বলো - একান্তই ঘর কেন্দ্রিক
দুর্বা ঘাসে দীর্ঘ আলপথ! খেলারাম খেলে যা! দিগন্তের অপর পারে উড়ে যায়
একনিঃশ্বাসে গোলাপনামা!
-স্বপ্নময় স্বপন©