অকস্মাৎ শিলাবৃষ্টির মতো কালো মেঘের আড়াল হতে
একদিন ঝড়েছিল বুলেটের দানা;  
সেই দিন মাঝ আকাশে পাখিরাও থেমে গিয়েছিল—
হালকা ফাঁপা দেহ নিয়ে শিমুল তুলার মতো মধ্যাহ্নের বাতাসে
ভেসে এসে  মুখ থুবড়ে পড়েছিল হতবিহ্বল ধরিত্রী জননীর কোলে;
  
উবু হয়ে পড়ে থাকা মরা শালিকের মতো ধরণীও হয়েছিল নীরব নিথর—  
হয়তো আতঙ্ক-ঘৃণা-ভয়ে, নয়তো দুঃখ-দ্বিধা-দীনতায়!  
অজস্র অবুঝ শিশু সন্তানের প্রয়াণে সেই দিন ধরণীও কেঁদেছিল বুঝি?  
সেই দিন ধরণীও কেঁদেছিল বুঝি অবোধ শিশুর মতো—
আপন ব্যথায় কিংবা অজস্র অবুঝ শিশু সন্তানের প্রয়াণে?  

নাকি তার চৌচির হয়ে ফেটে যাওয়া শুষ্ক প্রাণ অশ্রু সব নিয়েছিল শুষে?  
তার পাঁচ মহাসাগর বেদনায় নীল নোনা কান্নার জলও শেষমেশ উবে গিয়েছিল?  

সেই দিন'ও কেটে গেছে একদিন, কেটে গেছে রক্তঝরা দীর্ঘ কালো রাত!
সদ্য মুক্ত বন্দিনীর নির্ঘুম চোখের মত
রক্তিম অরুণ এসে ধুয়ে-মুছে গেছে সব কলঙ্ক-গ্লানির বরাত!