রাত্রি নিবিড় হলে হৃদয়ে মৃত্যু আসে,
অথচ হৃদয় নিবিড় করে চেয়েছে তোমায়!
কাতর সে আহ্বান, সুস্পষ্ট সেই বাণী
বোঝো নাই তুমি — তবে আর কতখানি
বুঝে ওঠা হবে কদর্য চোখের এ তীর্যক ভাষা!
সুদীর্ঘ একঘেয়ে বক্তৃতায় ক্লান্ত হবে প্রাণ—
আমার চোখের ভাষা, আমার বুকের ব্যথা,
কোনদিনই তবু তুমি বুঝবে না, জানি।
রাত জেগে আঙুলে কী-বোর্ডে চাপা আর নয়—
আর কোনো মনোলোগ,
উড়ো চিঠি, খোলা প্রেম বার্তা নয়;
মুখ কালা-কালি নয়, কাঁদা ছোড়াছুড়ি নয়,
প্রথাগত প্রেমিকের আড্ডাখানায়—
পার্ক, ক্যাফে কিঁবা পাঁচ-তারা রেস্তোরাঁয়
আর কোনো কথা নয়! আর কোনো কথা নয়!
টেলিগ্রাফিক সংক্ষিপ্ততায়,
সবশেষ কথা হবে সরাসরি মুখোমুখি,
নির্বাক অক্ষরে সাদাসিধা পাথুরে ভাষায়;
নির্জন হৃদয়েতে আসলে না যদি,
একদিন একাকিনী এপিটাফে এসো:
হার্দিক কোনো কথা বুঝলে না, দেখো—
পাথরে খোদাই লিপি যদি বোঝা যায়।