সে বোঝে কেবল ঘৃণা-
খোঁজে কথার কোথায় থাকে কতটুকু বিষ;
কতটা আগুনে জ্বলি, কেন এত কথা বলি,
কতটা যাতনা পুষে একা একা পথ চলি
সে  রাখতে চায়না তার খোজ- তার পায় না হদিশ!

ক্ষয়ে যাওয়া বিশ্বাস কতটা ভাঙার পরে
মানুষ পাথর হয়;  একাকী গুমড়ে মরে
কতটা আঘাত পেলে; কত বুক ভরা অভিমানে
শত লাঞ্ছনা সয়ে কেউ চুপ রয় অপমানে—
                             সেকি তাহা জানে?

ভেজা চুল শুকানোর আগে তার  ভালোবাসা উবে যায়;
ঘামে ভেজা কপালের মতো সব স্মৃতিগুলো নোনা হয়।
ক্ষণেকের ব্যবধানে হৃদয়েতে ঘৃণার দৃঢ় হয় ভীত—
প্রেম?— সেতো মুছে ফেলে অহমে!
                         খুঁজে ফেরে শুধু হার-জিৎ।

অথৈ অন্ধকারে মহাসমুদ্রেরও কানে
যে কথা বলিনি আমি; রাতের পোকারা নাহি জানে
হৃদয়ের যে গভীর ব্যথা; নিজের কণ্ঠ নাহি চেনে
যে নিস্তব্ধ আর্তনাদ-  সে নাদ শোনায় সে কারে?
এই ঘুণে ধরা হৃদয়ের ঝুলে ভরা সার
সেকি এভাবে বিলাতে পারে দুয়ারে সবার?

তার করুন চোখের বরদানে
হৃদয় কাননে প্রেমের যেই কুঁড়ি ফুটে,
মাঝরাতে আজ পতিত ইঁদুর ঢুকে খুটে খুটে
খায় সেই কুঁড়ি, নষ্ট করে— সুক্ষ্ম দাঁতে কেটে কুটে
             খণ্ড খণ্ড করে সে কোথা যায় ছুটে?