সে বোঝে কেবল ঘৃণা-
খোঁজে কথার কোথায় থাকে কতটুকু বিষ;
কতটা দহনে জ্বলে এত এত কথা বলি,
কতটা যাতনা পুষে একা একা পথ চলি
সে রাখতে চায়না তার খোজ- তার পায় না হদিশ!
ক্ষয়ে যাওয়া বিশ্বাস কতটা ভাঙার পরে
মানুষ পাথর হয়; একাকী গুমড়ে মরে
কতটা আঘাত পেলে; কত বুক ভরা অভিমানে
শত লাঞ্ছনা সয়ে কেউ চুপ রয় অপমানে—
সেকি তাহা জানে?
অথৈ অন্ধকারে মহাসমুদ্রেরও কানে
যে কথা বলিনি আমি; রাতের পোকারা নাহি জানে
হৃদয়ের যে গভীর ব্যথা; নিজের কণ্ঠ নাহি চেনে
যে নিস্তব্ধ আর্তনাদ- সে নাদ শোনায় সে কারে?
এই ঘুণে ধরা হৃদয়ের ঝুলে ভরা সার
সেকি এভাবে বিলাতে পারে দুয়ারে সবার?