অবাঞ্ছিত কীট আর অপ্রত্যাশিত প্রমাদের মতো
এক জ্বলন্ত উৎপাত তুমি ভাবো যে আমায় - বুঝি আমি।
জানি, বিরান মাঠ চষে বেরানো
অবাধ্য গবাদি পশুর মত আমি কোনো দুঃসহ কিছু:
বেকার যুবকের অহেতুক ঘ্যান-ঘ্যাঙানির মতো বিরক্তি আমি,
আজন্ম বঞ্চনার স্মৃতির মতো এক নিদারুণ অভিশাপ আমি,
ছাড়পত্রের পাতায় আমি বনলতা সেন-
কী বেখাপ্পা জঞ্জালময় এক অসহ অবাঞ্ছনা।
জানি, জানি, জানি- জানি আমি রানী,
কত অপবাদে যে বিবাদী সবই বুঝি শাহ্জাদী!
তবুও তোমায় কেন আপন আপন মনে হয়?
কেন ভাবতে পারি না পর?
কেন মনে হয় শেষ আশ্রয় তুমি?
যেন শাড়ির আচল দিয়ে বিষাদ মুছে দেয়া
মায়ের মতন তুমি এক প্রিয় কুঁড়েঘর!
এই যে তোমার চোখে তাকাতে পারি না-
এ কোনো নিরাবেগ বিরক্তি নয়...
সব বিতৃষ্ণার জন্ম ঘৃণা হতে নয়,
তিরস্কার, অবহেলা, বীভৎসতা হতে নয়
নিষ্ফল প্রার্থনা হতে আর নির্বাক বেদনা হতেও
তীব্র অবাঞ্ছনার মতো অনীহারা অহরহ জন্ম লয়...।
আমি হৃদয়ের খোজে হৃদয়ের থেকে পালিয়েছি বহুদিন
আমি জীবনের তরে জীবনকে ছেড়ে হয়ে গেছি দিশা-হীন!
পৃথিবীর সব লাঞ্ছনা
এই বুকে এসে যেন ব্যথার পাহাড় গড়ে দেয়!
বরফের মতো সব দুঃখরা হৃদয়কে জমাট বাঁধায়।
কত মৃত আকাঙ্ক্ষার ছাই পড়ে আছে
কত নির্বাক আশারা পায়নি ভাষা-
কত কথা ছিল হৃদয় গহনে
কত অপলক চোখ ক্লান্তিতে বুঝে গেছে-
ঘুমে পরে গেছে ঢুলে !
কত হাহাকার আহজারী
বুক ভারী করে দমে যায় দিন দিন-
দিন দিন লাঞ্ছনা সয়ে সয়ে কত স্মৃতিরা
ধুকে ধুকে হয়েছে মলিন-
তুমি জানলে না!
আমি জাবুল থেকে সিস্তান এসে
কতবার হেরেছি তোমার মেকি দম্ভের কাছে
তুমি জানলে না!
যদি হঠাৎ করেই নাই হয়ে যাই, যদি হুট করে যাই উধাও হয়ে
ততটা ঘৃণাই রবে কি হৃদয়ে যতটা আজকে যাচ্ছ বয়ে?