ব্যথিত নিভৃত অশ্রুর মতো তারাগুলো খসে পড়ে;
কৃষ্ণচূড়ারা ঝরে যায়, থরে থরে, একে একে মুখ ভার করে।
উদাস আকাশ, দীঘল তরুর শাখা নুয়ে গেছে অভিমানে—
যতই আড়াল করি হৃদয়ের ক্ষত কৃষ্ণচূড়ার শাখা ঠিকই জানে
সতত এ হৃদ-মন্দিরে ফুলের প্রশস্তি করি
কোন মুখ বুকে গেথে; জীবন স্বপ্ন তরী
কোন ধ্রুবতারা খোঁজে — উদাস আকাশ তাহা বোঝে!
শুধু তুমিই বোঝো না যেন পৃথিবীর বুকে,
কোন দেবতার আমি বন্দনারত— কার তরে মরি মাথা ঠুকে!
প্রাথমিক খসড়া:
ব্যথিত নিভৃত অশ্রুর মতো তারাগুলো খসে পড়ে;
কৃষ্ণচূড়ারা ঝরে যায়, থরে থরে, মুখ ভার করে।
উদাস আকাশ; দীঘল তরুর শাখা নুয়ে গেছে অভিমানে—
যতই আড়াল করি হৃদয়ের ক্ষত, ওরা ঠিকই জানে:
কার মুখ ভেবে আমি ফুলের প্রশস্তি করি—
ফেনিল সলিল মাঝে জীবন স্বপ্ন-তরী
ভেসে চলে যবে, কোন ধ্রুবতারা
হাঁতড়ায় সন্ত্রস্ত , দিক—দিগন্ত হারা
জীবন-পথিক? নিরুদ্দেশ নাবিকের দিশা
হয় কেবা? জীবনের আজন্ম অমানিশা
কেটে যায় প্রাণজাগানিয়া কোন সে নয়ন ভেবে মনে,
আকাশ, তরুরা জানে, বোঝে— যেন জেনেছে গোপনে
শুধু তুমিই বোঝো না যেন একা এই পৃথিবীর বুকে,
কোন দেবতার আমি বন্দনারত— কার তরে মরি মাথা ঠুকে!