জনহীণতার ভীড়ে সে এসে দাঁড়ায়— কিছুটা প্রশান্তি খুঁজে নিতে
সে এসে দাঁড়ায়— গোধূলির আকাশতলে একাকীনি (আলস্যে আনমনে)
নিথর হৃদয়ে রোগ-শোক, দুঃখ-জরা সমাচ্ছন্ন এই পৃথিবীতে!
দিগন্তাভীমুখী অপলক দু'নয়নে চলে শরতের সমীরণে
মেঘেদের তাড়া— গভীর অচেনা নিদারুণ উন্মাদনা দেহে ঢলে
পড়ে, একরাশি চাপা হাসি লুকায় সে নয়নের এক ফোটা জলে!

অগোছালো ফিনফিনে শাড়ি মৃদুমন্দ সমীরণে ইতস্তত করে;
আশিনের কাশের মতন একরাশ ঝিরঝিরে স্নিগ্ধ ঘন চুল—
তার আলতো আলতো এলোকেশ— ছুঁয়ে নেশাতুর হয়ে খসে পড়ে
মায়াবী উষ্ণ গাঢ় গন্ধে বিভোর কানে গোঁজা শুভ্র শুচি জুঁই ফুল;
জোনাকী দখলে নেয় দেহ উপবন; ঘৃতকুমারীর অনুরূপ
থলথলে দেহ হতে চুঁয়ে পড়ে দূর্বায় জমা শিশির-স্নিগ্ধ রূপ।

দুরন্ত বিক্ষুব্ধ শরীরের উদাত্ত অসহযোগ বিপ্লবের ফলে
সদ্য-মাতাল স্বাধীন যৌবনের অরাজকতায় ত্যক্ত নাকাল মন;
উষ্ণ নিঃশ্বাস হতে শুভ্র সুগন্ধি যেন বাতাসের সাথী হয়ে চলে;
রোমাঞ্চকর ভীতিজাগানিয়া তার উছল অথৈ অতল যৌবন
তারুণ্যে তাজা এ দুঃসাহসী প্রাণ বহু দূরে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়;
অগোছালো সে ভীষণ— উষারঙা শাড়িতে, অস্থির অধীর হাওয়ায়।